নিউজ ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ওপর হামলার ঘটনাটি সরকার হালকাভাবে নিচ্ছে না— বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) রাতে রাজধানী ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, সমন্বয়কদের ওপর হামলার ঘটনা সহজভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এই সমন্বয়করা জাতিকে একত্রিত করতে, জাতির বিবেক জাগ্রত করতে কাজ করছেন, যা অনেকের স্বার্থে আঘাত হানতে পারে। তাই তাদের নিরাপত্তা বিষয়ে সরকারের কেবিনেটে আলোচনা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এর ব্যাপারে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত হয়নি, কিন্তু সরকার এটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং তদন্ত চলছে।
তিনি আরও বলেন, কোর্টের নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সবাইকে সংযত থাকতে হবে এবং ধৈর্য ধরতে হবে। কারও যদি কোনো বিরোধ থাকে, সেটা ব্যক্তিগত, সামাজিক বা রাজনৈতিক হোক, হিংসাত্মকভাবে সেটা প্রকাশ করা ঠিক নয়। যৌক্তিক দাবি থাকলেও, যদি দাবির পদ্ধতি বেআইনি এবং ধ্বংসাত্মক হয়, তবে তা জনস্বার্থে ক্ষতিকর হতে পারে এবং ন্যায্য দাবি পূরণ করতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, প্রধান বিচারপতি তার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি, ধ্বংসাত্মক ও অবমাননামূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে। যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, তবে সে বিষয়ে অভিযোগ দায়েরের জন্য যথেষ্ট প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। কিন্তু হিংসাত্মক উপায়ে আন্দোলন করলে তা কোনো ফলস্বরূপ হবে না।
তিনি বলেন, যারা উচ্চ আদালতে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইসকন নিষিদ্ধের বিষয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকারের মধ্যে ইসকন বা কোনো সংস্থা নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বিভিন্ন দাবির পক্ষে মানুষ কর্মসূচি দিতে পারে, কিন্তু একেকজনের অপরাধের জন্য পুরো সংস্থাকে দায়ী করা ঠিক নয়।
তিনি আরও বলেন, একটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলছে। তিনি অভিযুক্ত হতে পারেন বা নাও হতে পারেন, সেটা আদালতই সিদ্ধান্ত নেবে। আজকেই ইসকনের পক্ষ থেকে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে তারা জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।