নিউজ ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
সাংবাদিকরা সংবাদ খুঁজবে, সংবাদ অনুসন্ধানে সরকারি-বেসরকারি যে কোনো স্থানে যে কোনো সময় যাবে, সাংবাদিকদের কাজে বাঁধা দেওয়া যাবে না- হাইকোর্ট”
এমন একটি লেখা ফেসবুক জুড়ে সাংবাদিকদের ওয়ালে ঘুরপাক খাচ্ছে। কেউ এটি লেখা আকারে, কেউ বা ছবি আকারে পোস্ট করেছেন। সেখানে হাইকোর্টকে ধন্যবাদ দিয়েছেন সাংবাদিকদের পক্ষে এমন একটি আদেশ দেওয়ার জন্য। ফেসবুকে এটি এক প্রকার ভাইরাল হয়ে গেছে।
হঠাৎ পোস্টটি দেখে হাইকোর্ট এ ব্যাপারে আদৌ এমন কোনো কথা বলেছেন কিনা সে ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হয়। কিন্তু আজ (৬ সেপ্টেম্বর) কিংবা কয়েকদিনের মধ্যে হাইকোর্ট এমন কোনো কথা বলেছেন বলে কেউ নিশ্চিত করতে পারেননি। এ ব্যাপারে কোথাও কোনো সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলেও জানা যায়নি।
পোস্টদাতা কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন, সাংবাদিক ভাইদের ওয়াল থেকে নিয়েছেন। কোনো সোর্স আছে কিনা জানতে চাইলে তারা বলেন, কোনো সোর্স সন্ধান করে তারাও পাননি, তবে বিষয়টি ভালো লেগেছে।
বিষয়টি কেন ভালো লেগেছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন- বিওজেএর সভাপতি জাহিদ ইকবাল বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করে আসছি, সাংবাদিকরা দায়িত্ব পালনকালে যেখানে সেখানে আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত, আহত করার মতো দুঃসাহস দেখাচ্ছে দুষ্কৃতিকারীরা। এমনকি অপরাধকারীরা লাইভে সাংবাদিকের ওপর হামলা করছেন, মারধর করছেন, ক্যামেরা ভেঙে দিচ্ছেন, কানের পর্দা ফাটিয়ে দিচ্ছেন! সম্প্রতি এমন হামলার সংখ্যা বেড়েছে। তাই আমরা মনে করি হাইকোর্টের উচিত ছিল এ ব্যাপারে স্ব-প্রণোদিত হয়ে এমন ঘোষণা দেওয়া।
পোস্টটির বিষয়ে সিনিয়র সাংবাদিক মাশরেকুল আজম বলেন, ‘সাংবাদিকরা এক ধরনের পর্যবেক্ষক। যা তাদের পেশাগত কাজ ও সংবাদপত্র-গণমাধ্যম নিয়মাচার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তাদের কোনো কিছুর ছবি তোলা বা খবর সংগ্রহের জন্য অনুমতি লাগবে কেন? রাষ্ট্রে জনগণের সেবা করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া বেতনভুক্ত প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিরা তাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করছে কিনা তা দেখার পেশার নাম সাংবাদিকতা। যা বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত।
সাংবাদিকরা যদি কাজ না করে তাহলে তো দুর্নীতিবাজ এবং অপকর্মকারীরা সুযোগ পেয়ে যাবে যা খুশি তা করার। সেগুলো দেখার কেউ থাকবে না এবং দুষ্কৃতিকারীরা তাই চান। যে কারণে তারা হামলা বাড়িয়েছেন সাংবাদিকদের ওপর। কিন্তু অন্য সবার মতো সাংবাদিকদেরও শেষ ভরসার জায়গা হাইকোর্ট। তাদের একটা রায় মানেই আইন।
সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাগুলো নিশ্চয় হাইকোর্টের নজরে পড়েছে। তারা এমন একটা নির্দেশ দিতেই পারেন। আমরা সেটা প্রত্যাশা করি। হাইকোর্ট যদি এমন আদেশ দিয়ে থাকেন তাকে সাংবাদিক সমাজ সাধুবাদ জানায়।