নিউজ ডেস্ক, এটিভি সংবাদ :
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের কার্যক্রম নিয়ে সিপিডি কী বলল, টিআইবি কী বলল, সুজন কী বলল—এসব নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। ওরা সবাই বিএনপির সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলে। কথার সঙ্গে তাদের বাস্তব কর্মকাণ্ডে মিল নেই।
এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলেছে, এবারের বাজেটে সরকার মুনশিয়ানা দেখাতে পারেনি। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এটা আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এমন বক্তব্যর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের জন্য হলেও কালোটাকা সাদা করায় মূল ধারার ব্যাংকে চলে আসবে।
এ সময় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, এই বাজেট পরিমিত বাস্তবসম্মত ও গণমুখী ও সাহসী। আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই বাজেটকে স্বাগত জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে জোট সরকারের শাসনামলের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০৫ সালে বিএনপি ৪০ শতাংশ মানুষকে দারিদ্র্যের মধ্যে ফেলে গেছিল। এই ১৪ বছরে সেটা ১৮ শতাংশে নামিয়ে এনেছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, আগের বাজেটের চেয়ে এই বাজেটে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। উন্নত অনেক দেশও মূল্যস্ফীতি নামিয়ে আনতে হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে ৯ শতাংশে নামিয়ে এনেছে বাংলাদেশ।
১৫ বছর আগের বাংলাদেশ ১৫ বছর পরের বাংলাদেশ উন্নয়ন অর্জনে আকাশ-পাতাল পার্থক্য আছে বলেও উল্লেখ করেন সেতুমন্ত্রী। পাশাপাশি বাংলাদেশ এখন ৩৩তম বৃহৎ অর্থায়নের দেশ জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন শুধু ডালে ভাতে নয় পুষ্টি উৎপাদনেও এগিয়ে। এই বাজেটে মানুষের মৌলিক অধিকার (প্রতিষ্ঠিত হয়েছে) চিকিৎসা প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
জোট সরকারের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের (বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার) বাজেট ছিল ৬৮ হাজার কোটি টাকা। তবু বিএনপিকে বিদেশে গিয়ে দৌড়াতে হয়েছিল ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।