সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ
জেলা সিরাজগঞ্জে এবার কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে সোয়া ছয় লাখ গবাদিপশু। যা বিগত বছরের চাইতে বেশি। গতবারের মতো এবারো বেসরকারি উদ্যোক্তার পাশাপাশি সরকারিভাবে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কোরবানির পশু বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারিভাবে অনলাইনে ক্রয়কৃত গরু পছন্দ না হলে টাকা ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা এ বছর সংযোজন করা হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত বছর জেলায় কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ১২ হাজার। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ২৫ হাজারে। জেলার ১৭ হাজার ১৩৪টি খামারে এবার এসব পশু মোটাতাজা করা হয়েছে। এর মধ্যে ষাঁড় গরু রয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার ১১০টি, বলদ গরু ৩৩ হাজার ৬০৫টি, গাভী গরু ১৫ হাজার ৭১৭টি, মহিষ তিন হাজার ৬৮১টি, ছাগল ৩ লাখ ৩৮ হাজার ২৩৫টি ও ভেড়া ৬০ হাজার ৫৮০টি। প্রস্তুতকৃত এসব পশুর বাজারমূল্য প্রায় ২ হাজার ৫শ কোটি টাকা।
সিরাজগঞ্জ শহরের ছোয়ামনি ডেইরি ফার্মের মালিক আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার মিডিয়াকে জানান, এবার গোখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গবাদিপশু পালনে খরচ বেড়েছে। তবে আসন্ন কোরবানি ঈদে কাঙ্ক্ষিত দাম না পেলে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও জানান আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার।
রাণীগ্রাম খাঁন এগ্রো ফার্মের মালিক নাজমুল ইসলাম খাঁন এটিভি সংবাদকে বলেন, এবার খামারে দেড় লাখ থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা দামের কোরবানির গরু প্রস্তুত করেছি। তবে গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় আমরা লাভবান হতে পারবো কিনা সন্দেহ আছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওমর ফারুক এটিভি সংবাদকে বলেন, এ জেলায় প্রাকৃতিক উপায়ে গবাদিপশু মোটাতাজা করা হয়। ফলে এসব পশুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে খামারিদের সবসময় গরু মোটাতাজাকরণের পরার্মশ দিয়ে আসছি। এবার কোরবানির হাটগুলোতে রোগগ্রস্ত পশু বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সদস্য নিয়োগ করা হবে।
Copyright © 2023 Atv Sangbad (A Concern of Aparadh Anusondhan Ltd) All rights reserved