https://Dingdong77game.com https://www.olimpiocotillo.com/ https://www.rdcongoleopardsfoot.com/ https://takeoveranddestroy.com/ https://plaintextebooks.com/ https://moderate-ri.org/ https://addictedtoseries.com/ https://nasstimes.com/ https://ellenlanyon.com/ https://axres.com/ https://hbfasia.org/ https://pavlograd-official.org/ https://ape77slot.com/ https://ape77sport.com/ https://christopheranton.org/ https://eriksmith.org/ https://jaytotoslot.org/ https://mexicovolitivo.com/ https://www.dirtyjokepost.com/ https://bobasportgame.org/ https://139.180.186.42/dingdong77/ https://jaytoto.org/ https://superanunciosweb.com/ সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসছে ইসি সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসছে ইসি – atv sangbad
সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ অপরাহ্ন

সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসছে ইসি

রিপোর্টার নাম / ২৪ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৩, ১১:২০ পূর্বাহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক, এটিভি সংবাদ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব ভোটকক্ষে সিসি (ক্লোজড সার্কিট) ক্যামেরা স্থাপনের পরিকল্পনা থেকে সরে আসছে নির্বাচন কমিশন। দায়িত্ব নেওয়ার পর কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন এই পরিকল্পনা নিয়েছিল। তবে সাংবিধানিক এই সংস্থা এখন মনে করছে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।

অবশ্য সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা না করার বিষয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি। তবে ইসির উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বেশ কিছু স্থানীয় সরকার ও জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনে সিসিটিভির মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার পর কমিশন মনে করছে সারা দেশে ৩০০ সংসদীয় আসনে একসঙ্গে সিসিটিভিতে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার মতো সক্ষমতা তাদের নেই। ভোট জালিয়াতি বা জাল ভোট ঠেকাতে কোনো বিকল্প কিছু করা যায় কি না, তা নিয়ে এখন চিন্তাভাবনা করছে কমিশন।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নিয়েছিল। জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ওই বছরের অক্টোবরে নিজেদের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল ইসি। সেখানে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার পথে ১৪টি চ্যালেঞ্জ বা বাধা চিহ্নিত করেছিল তারা। এসব বাধা উত্তরণে ইসি নিজেদের কর্মপরিকল্পনায় ১৯টি উপায়ও উল্লেখ করেছিল। তার একটি ছিল প্রতিটি ভোটকক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন।

২০১৪ সালে দেশে ‘একতরফা’ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতা, কেন্দ্র দখল ও ব্যালট ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা বাড়তে থাকে। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর যেসব নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হয়, সেখানেও অনিয়মের নতুন কৌশল দেখা যায়। ভোটের গোপন কক্ষে (বুথ) ভোটারের বাইরে এক বা একাধিক ব্যক্তি অবস্থান নিয়ে ভোটারকে প্রভাবিত করেন। এর ফলে ভোটার নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন না।

সিসি ক্যামেরায় ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচন দেখছে নির্বাচন কমিশন

এমন প্রেক্ষাপটে ‘ভোট কক্ষে ডাকাত’ ঠেকাতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের পরিকল্পনা করে ইসি। কয়েকটি সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদের কয়েকটি উপনির্বাচনেও সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবহার করেছিল ইসি। এসব ভোটে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় নির্বাচন ভবনে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ভোটের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে গত ১৭ জুলাই ঢাকা–১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট হয়েছিল কাগজের ব্যালটে, সেখানেও সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করেছিল ইসি।

ইসির একাধিক সূত্র জানায়, ইসির মূল্যায়ন হচ্ছে, ভোটকক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে কিছু সুফল পাওয়া গেছে। এতে জাল ভোট দেওয়ার প্রবণতা কমেছে, যারা ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম করেন, তাঁদের মধ্যে একধরনের ভয় কাজ করেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালও এ ধরনের কথা গণমাধ্যমে বলেছেন।

চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষে বা আগামী বছরের জানুয়ারির শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ও বুথের সংখ্যা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ইসি সূত্র জানায়, আগামী জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে ৪৪ হাজারের মতো ভোটকেন্দ্র হবে। আর ভোটকক্ষ হবে সোয়া দুই লাখের বেশি। প্রতিটি কক্ষে একটি করে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে হলে সোয়া দুই লাখের বেশি ক্যামেরা লাগবে। ভোটকক্ষের বাইরে আরও দুটি করে বসাতে হলে সব মিলিয়ে তিন লাখের বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা প্রয়োজন হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণের জন্য বিপুলসংখ্যক জনবল প্রয়োজন হবে। আবার কেন্দ্রীয়ভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করতে লাগবে স্টেডিয়াম বা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মতো বড় জায়গা।

ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, ইসির নিজস্ব যে জনবল, তা নির্বাচনের সময় নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত থাকে। ৩০০ আসনের ৩ লাখ ক্যামেরা পর্যবেক্ষণের জন্য যে জনবল প্রয়োজন, তা জোগান দেওয়া সম্ভব নয়। আবার বাইরে থেকে চুক্তিতে জনবল নিয়োগ করা হলে তারা ঠিকমতো পর্যবেক্ষণ করবে কি না, তা নিয়েও সংশয় থাকে। ইসি এখন পর্যন্ত যে নির্বাচনগুলো সিসিটিভিতে পর্যবেক্ষণ করেছে, সেখানেও সব কেন্দ্র পুরোদমে পর্যবেক্ষণে রাখা সম্ভব হয়নি। এ ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ব্যবহারের বিষয়েও অনানুষ্ঠানিক কিছু আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এটি সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ।

নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান বলেন, কমিশন বিগত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করে সুফল পেয়েছে। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব আসনের জন্য তিন লাখের বেশি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করা অসম্ভব মনে হচ্ছে বিধায় ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়ে কমিশন এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বাস্তবতার আলোকে ৩০০ সংসদীয় আসনের ভোট সিসিটিভিতে পর্যবেক্ষণ করার সক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে যথাসময়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।

ইসির একটি সূত্র জানায়, কমিশন এখন মনে করছে ,জাল ভোট ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টরা। তাঁরা সক্রিয় থাকলে জাল ভোট ঠেকানো সম্ভব। এ বিষয়ে পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। অবশ্য নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা একাধিক সংস্থার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, গত এক দশকের নির্বাচনী অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, বিরোধী দলগুলোর প্রার্থীদের এজেন্টরা বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্রেই যেতে পারেননি। ফলে জাল ভোট ঠেকাতে পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার চিন্তা কার্যকর কোনো ফল এনে দেবে, এমন সম্ভাবনা কম।

ভোটে সিসিটিভি ক্যামেরার বিষয়টি বেশি আলোচনায় আসে গাইবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন ঘিরে। গত বছরের ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত এই উপনির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছিল ইসি। সেখানে প্রায় সব কেন্দ্রেই ব্যাপক অনিয়ম দেখা যায়। গোপন বুথে ভোটার ছাড়া অন্য ব্যক্তিদের অবস্থান করতে দেখা যায়। পরে মাঝপথে এই ভোট বন্ধ করে দেয় ইসি। ইসির এই সিদ্ধান্ত বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাদের কেউ কেউ ইসির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে গোপনীয়তা লঙ্ঘন করা হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নও তোলা হয় ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে।

গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচন বন্ধ করার পর গত বছরের ১৯ অক্টোবর সাবেক সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে মতবিনিময় করে বর্তমান কমিশন। সেই আলোচনায় জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বদলে সিসিটিভি ক্যমেরার ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ এসেছিল।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সব ভোটকেন্দ্রে সম্ভব না হলেও দুর্গম এলাকার এবং ও ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা যায়। অবশ্য তিনি মনে করেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হলে এবং সব প্রার্থী সঠিকভাবে এজেন্ট দিতে পারলে, সিসিটিভি ক্যামেরার প্রয়োজন হবে না।

এটিভি/এস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ