আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
পাকিস্তানে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক অচলাবস্থা চলছে। সরকার এবং বিরোধী পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। কেউ কাউকে চুল পরিমাণ ছাড় দিতে রাজি হচ্ছে না।
তীব্র কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছেন বর্তমান ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শাহবাহ শরিফ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
এদিকে পাকিস্তানের দুটি প্রদেশে আগাম পরিষদ নির্বাচন আয়োজন করার জন্য দেশটির সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করে একটি প্রস্তাব পাস করেছে সেখানকার পার্লামেন্ট।
পাকিস্তানে সরকার ও বিচার বিভাগের মধ্যে দ্বন্দ্ব সাম্প্রতিক সময়ে প্রকট হয়েছে। গত সপ্তাহে পার্লামেন্টের এক খসড়া বিলে প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে।
পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত মঙ্গলবার পাঞ্জাব ও খায়বার পাকতুন খাওয়ার নির্বাচন আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছিল। এই নির্বাচন স্থগিত করার নির্বাচন কমিশনের চেষ্টাকে আদালত অসাংবিধানিক হিসেবেও রায়ে বলেছিল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল চলতি বছরের প্রথম দিকে ওই প্রদেশ দুটির পরিষদ ভেঙে দিয়েছিল।
গতকাল বৃহস্পতিবার খালিদ মাগসি এমপি পার্লামেন্টে আদালতের আদেশ প্রত্যাখ্যান করে বিল আনেন। পরে হাউসের স্পিকার এক লাইভ সম্প্রচারে বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতা প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে থাকা রায়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বিলটি পাসের সময় পার্লামেন্টে উপস্থিত ছিলেন। বিলটি পাস হওয়ার পরপরই তিনি চলে যান।
আদালতের রায়ে ১৪ মে পাঞ্জাবের নির্বাচন আয়োজনের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। তবে কারিগরিক কারণে খায়বার পাকতুন খাওয়ার তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।
আদালতের রায়ে প্রাদেশিক আগাম নির্বাচন আয়োজন করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে ২১ বিলিয়ন রুপি (৭৩.৩৬ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করার জন্য সরকারের প্রতি নির্দেশ দেয়।
সরকার অর্থনৈতিক সঙ্কটের কথা বলে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাচ্ছে। সূত্র : আল জাজিরা