আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
সৌদি আরবে ওমরাহ যাত্রী বহনকারী বাস দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৩ জন বাংলাদেশির পরিচয় পাওয়া গেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতাহত বাংলাদেশিদের পরিচয়ের তথ্য জানিয়েছে।
বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৩ জন হলেন নোয়াখালীর সেনবাগের মো. শরিয়ত উল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুল আউয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, নোয়াখালীর মোহাম্মদ হেলাল, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কুমিল্লার মুরাদনগরের রাসেল মোল্লা, কক্সবাজারের মহেশখালীর মো. আসিফ, গাজীপুরের টঙ্গীর আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন, চাঁদপুরের কালু মিয়ার ছেলে রুক মিয়া, কক্সবাজারের মহেশখালীর সিফাত উল্লাহ, কুমিল্লার দেবীদ্বারের গিয়াস হামিদ, যশোর সদরের কাওসার মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ নাজমুল, যশোরের ইস্কান্দারের ছেলে রনি ও কক্সবাজারের মোহাম্মদ হোসেন।
এ ঘটনায় আহত বাংলাদেশি যারা হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া ব্যক্তিরা হলেন চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের আবুল বাশারের ছেলে সালাহউদ্দিন, ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার আল আমিন, লক্ষীপুরের রায়পুরার সিরাজুল্লাহর ছেলে মিনহাজ, চাঁদপুরের মো. জয়নালের ছেলে জুয়েল, মাগুরার শালিকা এলাকার জাকির মোল্লার ছেলে আফ্রিদি মোল্লা (পাসপোর্ট নম্বর EA0231718), লক্ষীপুরের চন্দ্রগঞ্জের আবু সাইদের ছেলে মো. রিয়াজ, আব্দুল হাই (প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন), রানা (প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন), মো. সেলিম (পাসপোর্ট নম্বর A03459571), কুমিল্লার লাকসামের আইয়ুব আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসাইন, হোসাইন আলী (প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন), কুদ্দুস (প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন), নোয়াখালীর সেনবাগের আব্দুল লতিফের ছেলে মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুল মালেকের ছেলে ইয়ার হোসাইন, কুমিল্লার মুরাদনগরের মো. জজ মিয়ার ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম, মাগুরার মহম্মদপুরের ফজলুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান ও যশোর সদরের কাজী আনোয়ার হোসাইনের ছেলে মো. মোশাররফ হোসাইন।
এছাড়া ভিনদেশি ১২ জন যাত্রীর মধ্যে পাঁচজনকে মৃত এবং সাতজনকে আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
সৌদি আরবের আসির প্রদেশের আবহা এলাকায় সোমবার (২৭ মার্চ) ব্রেক ফেল করে সেতুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে বাস উল্টে যায়। এতে বাসটিতে আগুন ধরে হতাহতের ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উল্লেখিত ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন।