খুলনা ব্যুরো, এটিভি সংবাদ
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সাময়িক বরখাস্ত পাওয়া ডিবির এসআই মো.আলী আকবর শেখ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা দায়ের করেছে।
বুধবার (৩ আগস্ট) খুলনা দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনার (মহানগর) সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বিজন কুমার রায় বিষয়টি মিডিয়াকে নিশ্চিত করেছেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, খুলনা মহানগরীর পশ্চিম টুটপাড়া, মেইন রোডের আঞ্জুমান মঞ্জিলের (হোল্ডিং নম্বর-১৮/২) বাসিন্দা এসআই মো. আলী আকবর শেখ (সাময়িক বরখাস্ত) ও তার স্ত্রী মিসেস নাজমা আকবরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২১ লাখ ৮২ হাজার ৯৪৩ টাকার অবৈধ সম্পদ গোপনকরা এবং মিথ্যা তথ্য প্রদানসহ ৮৮ লাখ ২২ হাজার ৯৭২ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করার অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) এবং ২৬(২) ধারা তৎসহ দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হলো। এজাহারটি আদালতে প্রেরণ করা হবে।
এর আগে দুদকের বিভাগীয় কার্যালয় থেকে জানা যায়, আলী আকবরের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও চাঁদাবাজির অসংখ্য অভিযোগ দুদকে জমা হচ্ছিল। অভিযোগের প্রাথমিক অনুসন্ধানে সত্যতা ধরা পড়লে প্রতিবেদন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এরপর ২০১১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আকবরকে সম্পদ বিবরণী দুদকে জমা দেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়।
সম্পদ বিবরণীতে আকবর তার ও তার স্ত্রী নাজমা আক্তারের নামে ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৮৩৬ টাকার স্থাবর সম্পদ আছে বলে জানান। অস্থাবর সম্পদ বিবরণীর কলামে তিনি মোট আটটি অস্থাবর সম্পদের বিবরণ দাখিল করেন। এসবের মূল্য ছিল ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। এ সম্পদ বিবরণী নিয়ে তদন্ত শুরু করে দুদক।
দুদকের সমন্বিত খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাহাতাব উদ্দিন জানান, অনুসন্ধানে দেখা যায়, মো. আলী আকবর শেখ ২০০৭ সালের ২১ জুলাই খুলনা সিটি করপোরেশনের লবণচরা মৌজায় ৪ কাঠা জমি ১ লাখ ৯২ হাজার টাকায় কেনেন। তিনি এবং তার স্ত্রী নাজমা আক্তার ২০১০ সালের ২৮ জুন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের পুঁটিখালী ও গাজিরঘাট মৌজায় ৩ দশমিক ৯৩ একর জমি ৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকায় কেনেন। পরের বছর ৯ ফেব্রুয়ারি এ দম্পতি খুলনা মহানগরীর টুটপাড়া মৌজায় ০ দশমিক ০৫ একর বাস্তুজমি ১৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় কেনেন। এগুলো তিনি সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেননি।