নিউজ ডেস্ক, এটিভি সংবাদ :
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচল করা ‘কক্সবাজার স্পেশাল’ ট্রেনটি গত ৩০ মে থেকে বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। এরপর গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি অভিযোগ করে, বাস মালিকদের ‘প্রেসক্রিপশনে’ ট্রেনটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এবার যাত্রী কল্যাণ সমিতির এ অভিযোগের কঠোর বিরোধিতা করলেন রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সম্পদ সীমিত। আমরা চেষ্টা করছি সবগুলো ব্যবস্থাই চালু রাখার জন্য। মাঝে মাঝে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ইঞ্জিনগুলো ডিসঅর্ডার হয়ে যায়। এ কারণে মাঝে মাঝে দু’একটি ট্রেন বন্ধ করি। এছাড়া লোকোমোটিভ মাস্টার সংকটের কারণেও ট্রেন চালাতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু ট্রেন বন্ধ করে আমরা বাস মালিকদের সুবিধা দেব, এটাতো বিকৃত মানসিকতার পরিচয়।’
শনিবার (১ জুন) দুপুরে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা পরিষদ চত্বরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো অবস্থাতেই কাউকে সুবিধা দেয়ার জন্য ট্রেন বন্ধ করব না। রেলকে ব্যবহার করে কেউ লাভবান হবে- এই সুবিধা আমরা দিতে রাজি না। প্রধানমন্ত্রী রেলকে গুরুত্ব দিয়েছেন। রেল সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য নতুন নতুন রেললাইন সম্প্রসারিত হচ্ছে। এরইমধ্যে ভারত থেকে ২০০ বগি আনার জন্য আমরা চুক্তি করেছি। খুব তাড়াতাড়ি এই বগিগুলো আসবে।’
জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমাদের আরও ২৬০টি বগি আসবে। এটিও খুব তাড়াতাড়ি চুক্তি হবে। এছাড়া আমরা বিভিন্ন সোর্স থেকে ইঞ্জিন ও বগি আনার চেষ্টা করছি। আমরা রেলের কন্টেইনার সেবাকে সম্প্রসারিত করার ব্যবস্থা নিয়েছি। গাজীপুরের ধীরাশ্রমে ডিপো হওয়ার পর কন্টেইনার সার্ভিস বাড়াবো। প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় সবদিক দিয়েই আমরা রেলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। আজকে খুলনা-মোংলা রুটে একটি ট্রেন চালু হলো। এর মধ্যদিয়ে আমাদের রেলের উন্নয়নে আরেকটি মাইলফলক যুক্ত হয়েছে। এই সার্ভিসটাকে আরও বড় করা হবে। যাদের সফলতা ভালো লাগে না, যারা উন্নয়ন চোখে দেখে না; তারাই সমালোচনা করে। এ নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যাথা নেই।’
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘সবার সহযোগিতায় গত ঈদের মতো এবারও নির্বিঘ্নে মানুষকে বাড়ি পৌঁছে দিতে পারবো। গত ঈদে মানুষ যেমন বাহবা দিয়েছে; এবারও বাহবা ধরে রাখতে পারবো। বরাবরের মতো এই ঈদেও রেলের সব ধরনের ব্যবস্থা থাকবে। ঈদের আগে তিন দিন থাকবে কোরবানি পশু বহনের বিশেষ ক্যাটল ট্রেন।’