সঠিক তদন্তে বেরিয়ে আসবে লোমহর্ষক তথ্য
অনুসন্ধানী প্রতিবেদক, এটিভি সংবাদ
রাজধানীর হাতিরঝিল থানা হাজতঘর থেকে রুমন শেখ (২৭) নামের এক যু্বকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় রুমন শেখের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন থানার সামনে বিক্ষোভ করেছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।
রুমন শেখ হাতিরঝিল থানা হাজতঘরে আত্মহত্যা করেছেন না কি অন্য কোনো কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, বিষয়টি স্পষ্ট নয়। গতকাল (১৯ আগস্ট) শুক্রবার দিনগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আজ (২০ আগস্ট) শনিবার রুমন শেখের ভাইয়ের শ্যালক (বিয়াই) সোহেল আহমেদ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এটিভি সংবাদকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সোহেল আহমেদ বলেন, গতকাল শুক্রবার রামপুরা মহানগর প্রজেক্টের বাসা থেকে বিকেল ৪টার দিকে রুমনকে হাতিরঝিল থানা পুলিশ ধরে নিয়ে আসে। পুলিশের অভিযোগ, ১৩ আগস্ট রুমন চুরি করেন। ওই ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে আমরাও শুনেছি রুমনের চুরির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
আত্মহত্যার বিষয়ে সোহেল আহমেদ বলেন, পুলিশ রুমনকে ধরে থানা হাজতখানায় রেখেছিল। রাত সাড়ে তিনটার দিকে রুমন নিজের ট্রাউজার খুলে গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনা সত্য তবে, থানার মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল, পুলিশ কি করছিল?
আমি লাশ নিয়ে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছি। এখন রুমন শেখের বাড়ির লোকজন হাতিরঝিল থানার সামনে বিক্ষোভ করছে। তারা এ ঘটনায় পুলিশকে দায়ী করছে। পুলিশের হেফাজতে আত্মহত্যা এ দায় তো পুলিশ এড়াতে পারে না।
তবে, এ ঘটনার ব্যাপারে পুলিশের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক, হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ ও থানার পরিদর্শককে (তদন্ত) কল করা হলেও তারা ফোন ধরেননি। যদিও ডিউটি অফিসার ফোন ধরে বলেন, এ ব্যাপারে বড় স্যারেরা কথা বলবেন।
পুলিশ হেফাজতে একজন আসামী আত্মহত্যা করে, এ বিষয়টাকে কোনক্রমেই সমর্থন দেওয়া যায় না। থানা হাজতখানার দায়িত্বে যারা ছিলেন, তারা রাতে কি করছিলেন? এখানে পুলিশের বড় ধরনের অবহেলা রয়েছে।
বিষয়টির উপর গুরুত্ব দিয়ে সঠিক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন, এটিভি সংবাদের সম্পাদক এস এম জামান। সঠিক তদন্তে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে লোমহর্ষক তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে বলেও মন্তব্য সম্পাদকের।