সৈকত মনি, এটিভি সংবাদ
হিরো আলমকে মারধরের ঘটনায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা বলেছেন। তিনি বলেন, এ মারধরের ঘটনায় দলের কেউ জড়িত থাকলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু করে রাত সোয়া ১১টা পর্যন্ত চলে ১৪ দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সভা। সেখানে হিরো আলম প্রসঙ্গ ওঠে।
এর আগে তথ্যমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিরো আলমের মারধরের ঘটনা নিয়ে কথা বলেছেন। অপরদিকে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মারধরের ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছি।
গণআজাদী লীগের সভাপতি এসকে শিকদার বলেন, নির্বাচনে ভোট শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে মারধর করার বিষয়টি নিয়ে কথা হয়। সবাই বলেছে, যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দলের কেউ জড়িত থাকলেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হিরো আলমকে নিয়ে কি কথা হয়েছে জানতে চাইলে জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার বলেন, হিরো আলমকে মারধর করার বিষয় নিয়ে চৌদ্দ দলীয় বৈঠকে কথা হয়েছে। সবাই বলেছে, নির্বাচন শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে তো নয়ই, তাকে কেন মারধর করতে হবে।
এর সঙ্গে কারা জড়িত খুঁজে বের করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন— নিজের দলের কেউ থাকলেও আইনের আওতায় আনবেন।
বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ বলেন, হিরো আলমকে কারা হিরো বানাচ্ছে, এটা দেখতে হবে। কারা আক্রমণ করেছে, সেটা নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা বলেছি, এটা কোনোভাবেই ঠিক হয়নি, যারা মারধর করেছে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের দলের কেউ জড়িত থাকলেও শাস্তির আওতায় আনা হবে।
১৪-দলীয় জোট নেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, শিরীন আখতার, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, পলিট ব্যুরোর সদস্য লুৎফর রহমান, জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ,
সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন, সহ-সভাপতি জহির হাসান, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি আরশ আলী, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, ন্যাপের সভাপতি আইভী আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুক, গণআজাদী লীগের সভাপতি এসকে শিকদার, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, যুগ্ম আহ্বায়ক অসিত বরণ রায়, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-এর আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খান প্রমুখ এ বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন।