আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ভারতের উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। এটি দেশটির ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের মধ্যবর্তী জায়গা দিয়ে ১২০ কিলোমিটার গতিবেগে প্রবেশ করে আঘাত হানতে পারে। এ অবস্থায় দুই রাজ্যেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
ভারতের আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, শেষ মুহূর্তে অভিমুখ পরিবর্তন না করলে দিঘা থেকে মোটামুটি ২০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত করবে ঘূর্ণিঝড় দানা। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সকাল থেকেই দিঘায় সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। রয়েছে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসও। দিঘাসহ পূর্ব মেদিনীপুরে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা।
ওড়িশায়ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সকাল থেকেই ভদ্রকের ধামারায় বৃষ্টি ঝরছে। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া।
ধামরা বন্দরের সিইও দেবেন্দ্র ঠাক্কর জানিয়েছেন, ভারতীয় আবহাওয়া ভবনের পক্ষ থেকে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, তাতে ধামরা বন্দরের ওপর দিয়ে প্রবেশ করবে ঘূর্ণিঝড়। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বন্দরের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা যাবে ওড়িশার ওপর দিয়ে। সেই পরিস্থিতিতে বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে তিন লাখ মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে রাজ্য সরকার। ১৪টি জেলার মোট ১০ লাখ ৬০ হাজার ৩৩৬ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। যাদের সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাদের খাবারসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
পূর্বাভাস বলছে, ওড়িশার ধামরা এবং ভিতরকণিকার কাছে ল্যান্ডফল হবে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র। ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া মধ্যরাত থেকে শুরু হতে পারে। শুক্রবার সকালের মধ্যে উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূল পেরিয়ে যাবে ‘দানা’। আর স্থলভাগে প্রবেশের সময় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারও ছুঁয়ে ফেলতে পারে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতেই শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘দানা’, যা ক্রমশ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। ভারতীয় আবহাওয়া ভবনের সাম্প্রতিক বুলেটিন অনুযায়ী, পারাদ্বীপ থেকে প্রায় ২৭০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। সাগরদ্বীপ থেকে ৩৭০ কিমি দূরে, আর ধামরা থেকে মোটামুটি ৩১০ কিমি দূরে আছে ঘূর্ণিঝড় দানা।