আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
আগামী ১৪ আগস্ট (সোমবার) ভারত ও চীনের মধ্যে কমান্ডার স্তরের কর্মকর্তাদের বৈঠক ১৯তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে লাদাখের সাথে পূর্ব সীমান্তে অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে উভয় দেশের সামরিক কর্মকর্তাদের মাঝে আলোচনা হবে।
আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। মূল বৈঠকের পাশাপাশি একটি পার্শ্ব বৈঠকও করতে পারেন ভারত এবং চীনা রাষ্ট্রপ্রধান। তার আগেই নয়াদিল্লি এবং বেজিং সীমান্ত পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে মজবুত করতে চাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এর আগে দু’দেশের মধ্যে ১৮ দফা কমান্ডার পর্যায়ের আলোচনা হয়েছে। ১৯ তম দফা আলোচনা পূর্ব লাদাখ সেক্টরে চুশুল-মোল্ডো এলাকায় অনুষ্ঠিত হবে। ভারতের পক্ষ থেকে কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করা হচ্ছে। চার মাস আগে ওই ইস্যুতে ১৮তম দফা বৈঠক হলেও উল্লেখযোগ্য কোনো ফল হয়নি। শীর্ষ-স্তরের সামরিক আলোচনায় ভারত পূর্ব লাদাখের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ডেপসাং এবং ডেমচোক এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করার উপর জোর দিতে পারে।
চীন গত কয়েক মাস ধরে ডেপসাং সমভূমি এলাকায় ভারতীয় টহল বন্ধ করে দিয়েছে। চীন বরাবরই ডেপসাং এবং চার্ডিং নিংলুং নালা (সিএনএন) থেকে সেনা প্রত্যাহারের দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে। এখন দেখার বিষয় সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠকে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) অপসারণের ভারতের প্রস্তাবে চীন কী প্রতিক্রিয়া জানায়। চীনের সাথে বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন ১৪-কর্পস কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রশিম বালি। এর পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ‘আইটিবিপি’র কর্মকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, চীনের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেবেন দক্ষিণ জিনজিয়াং সামরিক জেলা প্রধান।
এর আগে গত জুলাইতে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল জানান, সীমান্তে শান্তি ফিরলে ভারত-চীন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে। কিছুদিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় ‘ব্রিকস’ গোষ্ঠীভুক্ত সদস্য দেশগুলোর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের ১৩ তম বৈঠকের সময় পার্শ্ববৈঠকে মিলিত হন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সম্প্রতি একটি বিবৃতি বলা হয়, ওয়াং ইকে ডোভাল বলেছেন, ‘২০২০ সাল থেকে ভারত-চীন সীমান্তের পশ্চিম ফ্রন্টে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি দু’দেশের মধ্যে বিশ্বাসে ফাটল ধরিয়েছে। ভারত-চীন সম্পর্ক ধীরে ধীরে তলানিতে এসে ঠেকেছে।’
সূত্র : পিটি