নিউজ ডেস্ক, এটিভি সংবাদ:
জিম্মি চুক্তিতে রাজি হওয়ার জন্য ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলন হামাসকে সাত দিন সময় দিয়েছে ইসরাইল। এই সময়ের মধ্যে চুক্তি না হলে গাজা উপত্যকায় রাফাতে হামলা চালানোর হুমকি দেওয়া হয়েছে।
চুক্তিটি নিয়ে আলোচনার সময়, নেতানিয়াহুর বাহিনী গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার (৩ মে)মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এ তথ্য জানিয়েছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আলটিমেটামের কথা জানালেও কিন্তু কখন এটি জারি করা হয়েছে তা নির্দিষ্ট করে জানায়নি। শুক্রবার মিশরীয় এক কর্মকর্তার বিবৃতি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তাই ইসরাইল আগামী শুক্রবারের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তির প্রস্তাব বিদেশে হামাস নেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। যেটি তৈরি করেছে মিশর।এদিকে, হামাসের একটি প্রতিনিধি দল একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য শনিবার (৪ মে) কায়রো যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। সংস্থাটির একজন প্রতিনিধি এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হামাসের কাছে প্রস্তাবিত চুক্তিতে প্রথম ধাপে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে, হামাস ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেবে। প্রথম পর্বের পর শুরু হয় দ্বিতীয় পর্ব। এই সময়ের মধ্যে, কমপক্ষে ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধ বন্ধ হবে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও জিম্মি মুক্তি পাবে। এরপর দুই পক্ষ চাইলে আরও এক বছর যুদ্ধ বন্ধ রাখা হবে।
ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজা উপত্যকায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে কি না তার ওপরও চুক্তিটি নির্ভর করছে বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম। তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে ইসরায়েল গাজাবাসীদের উত্তরে তাদের বাড়িতে বিনা বাধায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি দিতে সম্মত হয়েছে।
এদিকে, চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলাকালীন নেতানিয়াহুর বাহিনী গাজা উপত্যকার বিভিন্ন অংশে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গাজা ছাড়াও পশ্চিম তীরেও তারা তান্ডব চালাচ্ছে ।
৭ অক্টোবর, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সংগঠন হামাস ইরেজ গাজা উপত্যকার উত্তর সীমান্ত জুড়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায়। তাদের আক্রমণের ফলে, ১ হাজার ২০০জন মানুষ মারা যায়। এছাড়া হামাস দুই শতাধিক মানুষকে জিম্মি করে। জবাবে ওই দিন থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় অভিযান শুরু করে। গাজায় আগ্রাসনের ফলে ইতিমধ্যে ৩৪,০০০ এরও বেশি মানুষ মারা গেছে। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়াও, আনুমানিক ৮০ হাজারের মতো মানুষ আহত হয়েছে।