ফরিদপুর প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের মানিকদী গ্রামে ভুয়া মৃত্যু সনদে মো. সূর্য খানের জমি প্রভাবশালী প্রতিপক্ষের দ্বারা দখলের অপচেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে তার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. সূর্য্য খান বলেন, একটি মহলের অপতৎপরতায় ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি দখল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে সাহেরন বেগম। ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে সম্পত্তি হাতছাড়া করার পাঁয়তারা করছে মহলটি।
জানা যায়, ওই গ্রামের লাল খান বিগত ২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক কন্যা রেখে যান। মৃত লাল খানের কোনো পুত্রসন্তান না থাকায় স্ত্রী-কন্যার পাশাপাশি ওয়ারিশ মূলে তার ভাতিজা মো. সূর্য খান সম্পত্তির মালিক হন। সূর্য খান দীর্ঘ ১২ বছর ধরে তার অংশের সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছেন। সাম্প্রতিক তার স্ত্রী বলে বেড়াচ্ছেন তার স্বামী মৃত্যুর আগে তাকে তার সম্পত্তির দলিল মূলে লিখে দিয়েছেন। এ বিষয়ে সূর্য খান জানান, আমার চাচি একটা দলিল দেখাচ্ছেন যেখানে দলিলের তারিখ রয়েছে চাচার মৃত্যুর ১ মাস পরের তারিখে। তিনি বলেন, আমার লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে স্যানিটারি অফিসার সহ এলাকায় তদন্তদল পাঠিয়ে মৃত্যুর সঠিক সময় নির্ধারণ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ করেন। পরে মৃত্যুসনদ প্রদান করা হয়।

তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, মৃত্যুর পরে কীভাবে দলিল দেয়? এদিকে সরেজমিন এলাকা ঘুরে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, তদন্ত সাপেক্ষে মৃত্যু সনদ দেওয়া হয়েছে। একটি চক্রের প্রতারণায় সূর্য খানের জমি দখল করার জন্য দলিল নাটক সাজিয়েছে। তাছাড়া অপতৎপরতা চালিয়ে নতুন করে মৃত্যু সনদ তৈরি করে দলিল বৈধ করার চেষ্টা করছে মহলটি।
সূর্য খান অভিযোগ করে বলেন, চাচা যদি দলিল করে দিয়ে থাকেন তাহলে দীর্ঘ্য ১২ বছর পরে কেন বলা হচ্ছে? মূলত চাচি টাকা দিয়ে মিথ্যা ও ভুয়া মৃত্যু সনদ বানিয়ে জমি দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় একাধিক সালিশ বৈঠকে সমাধান না হওয়ায় ভুক্তভোগী সূর্য খান বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। তিনি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
