মো. মামুন হোসেন, পিরোজপুর প্রতিনিধি //
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে পরিচিত ভান্ডারিয়া মডেল মসজিদের ইমাম হাফিজুল ইসলাম মহিব্বি’র পুনর্বহালের উদ্যোগের বিরুদ্ধে মুসল্লিরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার আসর নামাজের পর মডেল মসজিদে বিক্ষুব্ধ মুসল্লিরা মসজিদের সামেনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইমাম রাজনৈতিকভাবে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ছিলেন, দীর্ঘদিন ধরে মসজিদের খুতবায় পক্ষপাতদুষ্ট ও বিভাজনমূলক বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন, যা ধর্মীয় পরিবেশকে কলুষিত করেছিল। মসজিদে ইমামতি করার জন্য একজন মানুষকে শুধু ধর্মীয় জ্ঞান নয়, নৈতিকতা ও নিরপেক্ষতা থাকা জরুরি। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া পর তিনি নিজের নিরাপত্তা ও অবস্থান নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পালিয়ে যান। পরিস্থিতি শান্ত হলে ৯ মাস পরে পালিয়ে যাওয়া ওই ইমাম প্রশাসন ও একটি মহলকে ম্যানেজ করে পুনর্বহালের চেষ্টা করছেন। যিনি ফ্যাসিবাদী শাসনের সমর্থক ছিলেন, তাকে এই দায়িত্বে আমরা মেনে নিতে পারি না।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা ইমরান হোসেন, মাওলানা গোলাম সগির, সার্জেন্ট (আবঃ) আনোয়ার হোসেন ও ফয়সাল হোসেন টিটিু। অভিযুক্ত ইমাম মাওলানা হাফিজুর ইসলাম মহিব্বি মুঠোফোনে জানান, ৫ আগস্টের আগে-পরে রাস্ট্রীয় প্রোগ্রাম সমূহে নামাজের পর দোয়ার অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের নামে দোয়া করায় উপস্থিত কিছু মুসুল্লিরা প্রতিবাদ করেন। তা নিয়ে কিছু বাকবিতন্ডা হওয়ায় ইউএনও স্যার আমাকে কিছু দিন সেইফে থাকতে বলেন। পরিস্থিতি শান্ত হলে ঠিক হয়ে যাবে। এ বিষয়ে মসজিদের সভাপতি ইউএনও মো. ইয়াছিন আরাফাত রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
মামুন/এটিভি০৭/২৪০৪/জেড