ইমদাদুল হক মিলন, এটিভি সংবাদ
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে এসপিএ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হাসান মিসবাহ ও ক্যামেরাপারসন সাজু মিয়া হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়। মোবাইল ও গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নেওয়াসহ প্রায় দুই ঘণ্টা তাদের আটকে রাখা হয়।
কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান মিডিয়াকে বলেন, কামরাঙ্গীরচরে এসপিএ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে দুজন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাদের ওপর হামলা করা হয়। এসপিএ ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিলন নামে এক এসআই তাদের মারধর করেন। পরে থানা থেকে পুলিশ গিয়ে মিসবাহ ও সাজুকে উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এসপিএ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালের মালিক এম এইচ ওসমানীসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া সাংবাদিকদের মারধরের অভিযোগে কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই মিলন হোসেনকে এরই মধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে।
দেশে প্রতিনিয়ত সাংবাদিকরা হামলার শিকার হচ্ছে। সাংবাদিকরা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যদি হামলার শিকার হয়, আর সেই হামলার সাথে যদি পুলিশ জড়িত থাকে এ লজ্জা কার? জাতি জানতে চায়, যেখানে জাতির বিবেক খর্ব হয় পদে পদে সেখানে ইজ্জত যায় কার? এমন মন্তব্য করেন, এটিভি সংবাদের সম্পাদক এস এম জামান।