নিজস্ব প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ
পাবনায় হেযবুত তওহীদের কার্যালয়ে হামলা ও সুজন হত্যার বিচারের দাবিতে গতকাল মুখরিত ছিল ঢাকার আদালতপাড়া। এ সময় সুজন হত্যা মামলা দ্রুত বিচার আইনে করার দাবিতে হেযবুত তওহীদের নেতাকর্মীরা মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার উত্তরায় হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের ঘোষণা করা ৫ দফা কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর হেযবুত তওহীদ। গতকাল (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে হেযবুত তওহীদ। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল আদালত চত্বর প্রদক্ষিণ করে আবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
এ সময় ঢাকা মহানগর হেযবুত তওহীদের সভাপতি ডা. মাহবুব আলম মাহফুজ’র নেতৃত্বে একটি দল জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানের সাথে সাক্ষাৎ করে সুজন হত্যার বিচারের দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করে। এ সময় ডা. মাহবুব আলম মাহফুজ ঢাকায় বসবাসরত হেযবুত তওহীদের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান ও পাবনায় হামলাকারীদের দ্রুত বিচার আইনে শাস্তির দাবি জানান।
জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে হেযবুত তওহীদের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর হেযবুত তওহীদের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন রব্বানী, উত্তরা ও গাজীপুর অঞ্চলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান টিটু, মিরপুর থানা সভাপতি আব্দুল হক বাবুল, ঢাকা মহানগর নারী সম্পাদক তাসলিমা ইসলাম প্রমুখ। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া হেযবুত তওহীদের নেতাকর্মীরা এলাকায় গণসংযোগ করে ‘সুজন হত্যার বিচার চাই’ শিরোনামে লিফলেট বিতরণ করে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্র দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হেযবুত তওহীদের পাবনা স্থানীয় কার্যালয়ে হামলা চালায়। এতে হেযবুত তওহীদের ১০ সদস্য আহত হন। এরমধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হলে সেখানেই ২৪ আগস্ট রাত আড়াইটায় সুজন শেখ নামে এক সদস্য মারা যান। পরে এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হলে ৭ আসামিকের আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।