এস এম জামান, এটিভি সংবাদ
বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার বঙ্গবন্ধুকন্যা সফল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমরা গর্বিত আপনার মত এমন একজন মানুষকে দেশপ্রধান হিসেবে পেয়ে। মহান আল্লাহর কাছে আপনার সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি।
বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এক নতুন পর্যায়ের বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মাতা। হিমাদ্রী শিখর সফলতার মূর্ত-স্মারক, উন্নয়নের কাণ্ডারি। উন্নত সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার। বিশ্বরাজনীতির উজ্জ্বলতম প্রভা, বিশ্ব পরিমণ্ডলে অগ্রসর জাতি, দেশ, জনগোষ্ঠীর মুখপাত্র, বিশ্বনন্দিত নেতা। বারবার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা ‘নীলকণ্ঠ পাখি’, মৃত্যুঞ্জয়ী মুক্তমানবী। তিমির হননের অভিযাত্রী, মাদার অব হিউম্যানিটি। আত্মশক্তি-সমৃদ্ধ সত্য-সাধক। প্রগতি-উন্নয়ন শান্তি ও সমৃদ্ধির সুনির্মল-মোহনা। এক কথায় বলতে গেলে সমুদ্র সমান অর্জনে সমৃদ্ধ শেখ হাসিনার কর্মময় জীবন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের জ্যেষ্ঠ সন্তান জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের এই দিনে টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী। দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে আবির্ভূত করেছেন তিনি। তিনি আজ বিশ্বনেত্রী। বঙ্গবন্ধুর মত তার চরিত্রে মানুষের প্রতি বিশ্বাস-ভালোবাসা, সততা, দক্ষতা, ধৈর্য ও ক্ষমাশীলতার বিশেষ গুণ বিদ্যমান।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম হয়েছিলো বলেই আজকে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে। একইভাবে বলা যেতে পারে, বাংলাদেশের মহান স্থপতির রক্তে জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্ম না হলে বাংলাদেশ আজকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে পরতো না। বিশ্ব উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশ পরিচিত পেত না। সেই গণমানুষের নেত্রী, বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার, গণতন্ত্রের নেত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা মাদার অব হিউম্যানিটির আজ জন্মদিন।
বিশ্বব্যাপী শরণার্থী সমস্যা সমাধানের আলোকবর্তিকা হিসেবে উদ্ভাসিত হয়েছেন তিনি। শান্তিতে নোবেল জয়ীদের ভূমিকা যখন প্রশ্নবিদ্ধ তখন বিশ্বের মানচিত্রে শান্তির পতাকা হাতে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। সাম্প্রতিক সময়ের মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে প্রশংসিত ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়া এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘে ৫ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন। কয়েকদিন আগে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের মধ্যমণি ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার উদারতা ও মানবকিতা বিশ্ব নেতারা প্রশংসা করেছেন। বিশ্বের শক্তিশালী গণমাধ্যমগুলোও জননেত্রী শেখ হাসিনার উদারতাকে মাদার অব হিউম্যানিটি উপাধি দিয়েছেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মতো ১৯ বার তাকে হত্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীরা জানে, শেখ হাসিনা স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের পর বাংলাদেশের রাজনীতি নতুন বার্তা পেয়েছে। পথ হারানো জাতি দিশা পেয়েছে। সে কারণে তাকে হত্যার জন্য বহুবার চেষ্টা করা হয়। তবে বেঁচে গেছেন যেন অলৌকিকভাবে। মহান স্রষ্টার সমস্ত কৃপা বুঝি তার প্রতি অপরিসীম। তাই ঘাতকের ঘৃণ্য তৎপরতা কাজে আসেনি।
আজ ২৮ সেপ্টেম্বর, জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন, আজ ৭৬ বছরে পদার্পণ করলেন। জন্মদিনে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা আমাদের পক্ষ থেকে। তিনি দীর্ঘায়ু হোন, এই কামনা দেশের ১৮ কোটি মানুষের। জননেত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে সহজ-সরল মহত্ত্ব রয়েছে, যা সকলের শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা আকর্ষণ করে। নানা ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত হয়ে জাগ্রত তিনি। সমগ্র জাতিকে নিস্ক্রিয়তা, নির্জীবতা, বিমূঢ়তা থেকে মুক্ত করার জন্য দীর্ঘ লড়াই তিনি অব্যাহত রেখেছেন। সংগঠক হিসেবে নিজ দলকে এবং দেশকে করে তুলেছেন গতিশীল। তিনি বাঙালীর প্রতীক এবং পুরো দেশের প্রতিনিধি।
জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। দেশের উন্নয়ন আর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য প্রয়োজন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি ভালো থাকলে বাংলাদেশের মানুষ ভালো থাকবে, দেশের উন্নয়নের চাকা ঘুরতে থাকবে। দেশবাসীর কাছে একটাই চাওয়া বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন যেন সব বিপদ, আপদ ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়তে পারেন এবং হেফাজতে রাখেন।