ফরিদপুর প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ
ফরিদপুরের সদরপুরে পদ্মা ও আড়িয়াল খালসহ বিভিন্ন নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয়ে বিভিন্ন ধরনের জাল দিয়ে অবৈধভাবে দেশীয় নানা প্রজাতির মা মাছ ও রেণু পোনা শিকার করা হচ্ছে। এতে বর্ষা মৌসুমে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছের প্রজনন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
খবর নিয়ে জানা গেছে, আড়াআড়ি বাঁধ, চায়না দোয়ারি, টোনাজাল, মশারিজাল, সুতিজাল, রাক্ষুসীজাল ইত্যাদি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রজননে প্রস্তুত মা মাছ ও রেণু পোনা ধরে বাজারে বিক্রি করছেন জেলেরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভুবনেশ্বর নদে সামান্য এলাকায় বাঁশ দিয়ে ঘিরে মৎস্য অভয়াশ্রম করা হয়েছে, যা আয়তনে প্রয়োজনের তুলনায় অতি অল্প। এছাড়া আকোটেরচর হাট সংলগ্ন স্লুইস গেট, চর রামনগর, শিমুলতলি বাজার, হাজীকান্দি খাল, কাটাখালি, লোহারটেক, মুন্সীরচর মরা আড়িয়াল খাঁয়, শয়তানখালী পদ্মার পাড় ঘেঁষে চন্দ্রপাড়া ঘাট, চরনাছিরপুর, চরমানাইর ও নারিকেল বাড়িয়ার বিভিন্ন চরের জলাশয় যেখানে বর্ষার শুরুতেই মা মাছ প্রজননের জন্য আসে, সেখানে মৎস্য অভয়ারণ্য না থাকায় নিধন হচ্ছে মা মাছ ও রেণু পোনা।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. রেজাউল করিম বলেন, চরদরিকৃষ্ণপুর খালসহ বিভিন্ন এলাকায় সারা বছর জাল পাতা থাকে। মৌসুমি জেলেদের মাছ ধরা আইন বিষয়ক কোনো প্রশিক্ষণ না থাকা ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো প্রচার-প্রচারণা না থাকায় অবাধে ধরা হচ্ছে মা মাছ ও রেণু পোনা। এতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাস্তবে তার কোনো প্রয়োগ নেই।
উপজেলার চন্দ্রপাড়া ঘাট এলাকার মো. শুকুর আলী জানান, জেলেরা আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে রেণু পোনা সংগ্রহ করে প্রতিদিন সকালে এখানে বিক্রি করেন। এছাড়া তারা এখান থেকে রেণু পোনা নিয়ে অন্যান্য জেলায়ও যান। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। মৎস্য বিভাগে লোকবল কম। তা সত্ত্বেও আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে অতি শিগগিরই রেণু পোনা ধরা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করবো।’
এটিভি/এস