পিরোজপুর প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ
পিরোজপুর জেলা ব্রান্ড মাল্টার বাণিজ্যিকভাবে চাষ হলেও এ বছর উৎপাদন ঘাটতিতে পড়েছে ফলটি। ফুল ও ফল আসলেও বৃষ্টির অভাব ও খরায় ঝরে পড়ছে; ফলটি বড়ও হচ্ছে না। এতে উৎপাদন খরচ উঠবে না এ আশঙ্কায় মাথায় হাত পড়েছে বাগানিদের। বাগানিরা জানান, দামে কম, রসালো ও বেশি সুস্বাদু হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে পিরোজপুরের মাল্টার চাহিদা রয়েছে বেশ।
কিন্তু এ বছর তাপমাত্রা বেশি থাকায় ও সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ায় গাছে পর্যাপ্ত ফুল আসেনি। অন্যদিকে আসা ফুল ও ফলের অধিকাংশই ঝড়ে পড়েছে। ফলে ব্যবসায়িক ঘাটতিতে পড়ছেন তারা। কৃষি বিভাগের পরামর্শে বাগানে পানি সেচের ব্যবস্থা করা হলেও তা খুব একটা কাজে আসেনি। প্রচণ্ড খরায় মাল্টার রস কম হওয়ায় উৎপাদন খরচ উঠবে না বলে আশঙ্কা করছেন তারা। ফলে লোকসানের আশঙ্কায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন বাগানিরা।
পিরোজপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের মাল্টা বাগানি ফজলুর রহমান বলেন, আমি ১৫২ শতাংশ জমিতে মাল্টা চাষ করেছি। গত বছর এ জমি থেকে প্রায় তিন লাখ টাকার মালটা বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এ বছর ফুল আসার পর থেকে অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে মালটা ঝরে যাচ্ছে এবং বড় হচ্ছে না। তার কারণে আমি এ বছর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এ বছর ৫০ হাজার টাকার মালটা বিক্রি হবে না আমার এ বাগান থেকে।
পিরোজপুর কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, প্রচুর তাপমাত্রা ও খরায় মাল্টা উৎপাদনে সমস্যার সৃষ্টি হলে ফুল ও ফল টিকিয়ে রাখতে কৃষি বিভাগ পানি সেচের পরামর্শ দিয়েছে। এতে ফলনের ঘাটতি কমিয়ে আনা সম্ভব হয়। কিন্তু সবাই সেচ ও সার দিতে না পারায় হতাশায় পড়েছেন। তবে কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক চাষিদের সঙ্গে থেকে পরামর্শ দিচ্ছে। যাতে তারা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেন। জেলায় ছোট বড় দুই হাজারের অধিক মাল্টা বাগান রয়েছে। এ বছর জেলার সাড়ে তিন হাজার বাগানি ২৫৫ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ করেছেন।
এটিভি/এস