https://Dingdong77game.com https://www.olimpiocotillo.com/ https://www.rdcongoleopardsfoot.com/ https://takeoveranddestroy.com/ https://plaintextebooks.com/ https://moderate-ri.org/ https://addictedtoseries.com/ https://nasstimes.com/ https://ellenlanyon.com/ https://axres.com/ https://hbfasia.org/ https://pavlograd-official.org/ https://ape77slot.com/ https://ape77sport.com/ https://christopheranton.org/ https://eriksmith.org/ https://jaytotoslot.org/ https://mexicovolitivo.com/ https://www.dirtyjokepost.com/ https://bobasportgame.org/ https://139.180.186.42/dingdong77/ https://jaytoto.org/ https://superanunciosweb.com/ অবশেষে আজ দুই দলের সমাবেশ অবশেষে আজ দুই দলের সমাবেশ – atv sangbad
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন

অবশেষে আজ দুই দলের সমাবেশ

রিপোর্টার নাম / ৩৪ Time View
Update : শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০২৩, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন

আহসান হাবীব, এটিভি সংবাদ

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কাঙ্ক্ষিত সমাবেশস্থল নিয়ে গত দুই দিনের নাটকীয়তার অবসান ঘটে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে। রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়িয়ে বিএনপিকে মহাসমাবেশের জায়গা দিয়েছে পুলিশ। ২৩ শর্তে অনুমতি পেয়ে আজ শুক্রবার দুপুর ২টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ করবে দলটি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠনও একই শর্তে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে।

সমাবেশের জায়গা নিয়ে সংকটের সুরাহা হওয়ায় রাজনীতিতে উত্তেজনা কিছুটা কমেছে। তবে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে দুই প্রধান দলের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ, বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সমমনা দল ও জোটের অন্তত ১১ স্থানে সমাবেশ এবং দুই দলের মাঠ দখলে রাখার লড়াইয়ের কারণে এখনো জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়ে গেছে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কেউ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে, শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী তার দায়িত্ব পালন করবে। গত বছরের ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের সময়েও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।

তখনো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে, নাকি নয়াপল্টনে সমাবেশ হবে তা নিয়ে টানা কয়েক দিন নাটকীয়তা চলে। যদিও তখন শেষ পর্যন্ত রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপি গণসমাবেশ করেছিল। তবে এবার পুলিশ পরামর্শ দিলেও বিএনপি গোলাপবাগে যায়নি। দুই দিনের টানাপড়েনের পর সমাবেশের অনুমতি পাওয়ায় বিএনপি মনে করছে, পুরো ঘটনায় তারা লাভবান হয়েছে।

দেশি-বিদেশি সবাই সরকারের মনোভাব বুঝতে পেরেছে। অনুমতি পাওয়ার পর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেতাদের বৈঠকে এসব বক্তব্য উঠে আসে।
বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস পুলিশের ইতিবাচক ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা করেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী মহাসমাবেশের নিরাপত্তাবিধানে যথাযথ সহযোগিতা করবে। সমাবেশে আসার পথে জনগণ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধা দেবে না।
তিনি বলেন, ‘একটা কথা পরিষ্কার চলতে চাই, বিএনপি কখনো অশান্তি হয় এমন কর্মসূচি পালন করে না।’ তিনি বিএনপির কর্মসূচির দিন পাল্টা কর্মসূচি থেকে বিরত থাকতে ক্ষমতাসীনদের প্রতি আহ্বান জানান।

এখন মহাসমাবেশ থেকে বিএনপি কী ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করে, সেদিকে সবার দৃষ্টি। দলের নেতারা বলেছেন, দেশি-বিদেশিদের সাক্ষী রেখে তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করবেন। সমাবেশ থেকেও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেবেন। এর পরও এক দফার আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে মানুষ বেশ কৌতূহলী। নতুন কর্মসূচির ওপর নির্ভর করছে আগামী দিনের রাজনীতির গতি-প্রকৃতি।

সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পর বিকেল থেকে নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন। তবে বুধবার রাতে পুলিশের অভিযানে দলের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হওয়ার পর দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে কার্যালয় ত্যাগ করতে বলা হয়। ফলে সেখানে নেতাকর্মীদের জমায়েত বড় হয়নি। রাতে ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি ও মাইক লাগানোর কাজ শুরু হয়।

এর আগে গত দুই দিন সমাবেশ নয়াপল্টন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, নাকি গোলাপবাগে হবে—এ নিয়ে পুলিশ ও বিএনপির মধ্যে টানাপড়েন তৈরি হয়। উচ্চ আদালতের আপত্তি থাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং কর্মদিবসে জনভোগান্তির কারণ দেখিয়ে নয়াপল্টনে বৃহস্পতিবার সমাবেশ করতে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। পরে বিএনপি কর্মসূচি পিছিয়ে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারে সমাবেশ করার অনুমতি চায়। বিএনপির ঘোষণার পর আওয়ামী লীগও তাদের সামবেশ এক দিন পিছিয়ে শুক্রবারে আগারগাঁওয়ে পুরনো বাণিজ্য মেলা মাঠে করার সিদ্ধান্ত নেয়। গতকাল সকালে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের সমাবেশ হবে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে। এর কয়েক ঘণ্টা পর পুলিশও বিএনপিকে নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দেয়।

এদিকে উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর সরকারবিরোধী দল হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠা ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশ গতকাল শান্তিপূর্ণভাবে পুরানা পল্টনে হয়েছে। বিএনপির সমাবেশের দিন ২৭ জুলাই তারাও সমাবেশ ডেকেছিল।

কেন বিএনপিকে নয়াপল্টন দিল সরকার

দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, তাদের ডাকা মহাসমাবেশের পেছনে ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য আছে বলে সন্দেহ করছিল আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায় এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। ফলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে তাদের সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি ছিল। গত দুই দিনে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। সার্বিক দিক বিবেচনা করে খানিকটা ঝুঁকি নিয়েই বিএনপিকে নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র মতে, বিএনপিকে তাদের পছন্দমতো জায়গায় সমাবেশের অনুমতি দেওয়ায় যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগকেও তাদের পছন্দমতো স্থানেই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশের অনুমতির পেছনে রাজপথ দখলে রাখার কৌশলও কাজ করেছে। বিএনপির সমাবেশের কাছাকাছি ক্ষমতাসীন দলের বড় সমাবেশের কারণে রাজপথে যেকোনো বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে সহযোগিতা পাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, মূলত রাজপথ দখলে রাখার পাল্টা কৌশল হিসেবে তাঁদের তিন সহযোগী সংগঠন সমাবেশ ডেকেছে। এদিন পাড়া-মহল্লায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও সতর্ক অবস্থানে থাকবেন। বিএনপি যাতে ঢাকা অচল করতে না পারে সে জন্য ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মাঠে থাকতে বলা হয়েছে। বিএনপির মহাসমাবেশ সামনে রেখে দুই দিন আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মাঠে দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হতে বলেছেন।

গতকাল সন্ধ্যার আগেই সমাবেশস্থলে মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। বিকেল ৫টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘আমরা বিএনপিকে অনুসরণ করছি না, তাদের পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য মাঠে থাকছি না। আমরা মাঠে থাকছি বিএনপির সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। পৃথিবীর সব দেশেই রাজনৈতিক কার্যক্রম সহাবস্থানে হয়ে থাকে। এখানে বাধা কোথায়?’

কী কর্মসূচি দেবে বিএনপি

দলের শরিকদের কয়েকটি দল বিএনপিকে মহাসমাবেশ থেকে দুই দিনের আলটিমেটাম দিয়ে নতুন কর্মসূচি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। বিএনপির তাতে সম্মতি ছিল। তবে গত দুই দিনের পরবর্তিত পরিস্থিতিতে বিএনপিকে কর্মসূচি নিয়ে নতুন করে চিন্তা করতে হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আলটিমেটাম না দিয়ে রবিবার থেকে নতুন কর্মসূচিও দেওয়া হতে পারে। কর্মসূচির মধ্যে থাকতে পারে বিক্ষোভ, সমাবেশ, অবস্থান ও ঘেরাও। আগস্টের ১০ তারিখ পর্যন্ত কর্মসূচি চলতে পারে। এই সময়ের মধ্যে ঢাকায় একই দিন একাধিক স্থানে সমাবেশের কর্মসূচিও আসতে পারে। তবে ১৫ আগস্টের জাতীয় শোক দিবসের কারণে এক দফার কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত রাখবে বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরা। ২০ আগস্ট থেকে ফের লাগাতার কর্মসূচিতে যাবে বিএনপি। মূলত টানা অবস্থানের কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে চায় দলটি।

বিএনপির সমমনারা ১১ স্থানে  সমাবেশ করবে

এক দফা দাবিতে আজ বিকেল ৩টায় গণতন্ত্র মঞ্চ পুরানা পল্টন মোড়ে, ১২ দলীয় জোট ফকিরাপুল পানির ট্যাংকের কাছে, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট বিজয়নগরে আলরাজী কমপ্লেক্সের সামনে, গণফোরাম-পিপলস পার্টি আরামবাগে গণফোরাম চত্বরে, এলডিপি পূর্ব পান্থপথে, গণ অধিকার পরিষদ (রেজা কিবরিয়া) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে, গণ অধিকার পরিষদ (নুর) ফকিরাপুল কালভার্ট রোডে, বাংলাদেশ লেবার পার্টি বিজয়নগরে, এনডিএম মালিবাগ মোড়ে হোসাফ টাওয়ারের সামনে, সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ শাহবাগের মোড়ে সমাবেশ করবে। এ ছাড়া সকাল ১০টায় গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করবে। যুগপৎ আন্দোলনের বাইরে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এবি পার্টি সকাল সাড়ে ১১টায় সমাবেশ করবে বিজয়নগর সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে।

তিন ঘণ্টার সমাবেশে ২৩ শর্ত

সমাবেশের অনুমতি দিয়ে ২৩ শর্ত দিয়েছে ডিএমপি। উল্লেখযোগ্য শর্তগুলো হলো : বিএনপি নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে পুলিশ হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত সমাবেশ করবে এবং এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। কোনো লাঠিসোঁটা কোনোভাবেই সমাবেশে আনতে পারবে না। কোনো ব্যাগ বহন করতে পারবে না। রাষ্ট্রদ্রোহী কোনো বক্তব্য দিতে পারবে না। আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, মহানগর নাট্যমঞ্চ থেকে পশ্চিমে মুক্তাঙ্গন পর্যন্ত এই এলাকাগুলোতে তাদের সমাবেশ ও মাইকিং সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

গতকাল বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমাদের কাছে বড় ধরনের কোনো হুমকির খবর নেই। তবে কোনো কুচক্রী মহল সুযোগ নিয়ে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা বা নাশকতার ঘটনা ঘটাতে পারে। সেটা যাতে না পারে সে জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এটিভি/এস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ