গত বছর আইএস বলেছিল, তারা ওই দলটির সঙ্গে যুক্ত ধর্মীয় পণ্ডিতদের বিরুদ্ধে সহিংস হামলার পেছনে ছিল, যাদের দেশের উত্তর ও পশ্চিমে মসজিদ ও মাদরাসার বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে।
জিহাদি গোষ্ঠীটি উলামা-ই-ইসলাম-এফকে একটি ধর্মীয় ইসলামিক গোষ্ঠী হিসেবে ভণ্ডামি করার জন্য অভিযুক্ত করে, যা পরবর্তী সরকার ও সামরিক বাহিনীকে সমর্থন করেছে।
২০২১ সালে আফগান তালেবান প্রতিবেশী আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে পাকিস্তানে হামলার তীব্র বৃদ্ধি দেখা গেছে। পাকিস্তানের স্বদেশি তালেবান গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে।
জানুয়ারিতে পাকিস্তানের তালেবানের সঙ্গে যুক্ত একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ারের একটি পুলিশ কম্পাউন্ডের ভেতরে মসজিদে নিজেকে বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেয়। সে ঘটনায় ৮০ জনেরও বেশি কর্মকর্তা নিহত হয়।
পাকিস্তান একসময় প্রায় প্রতিদিন বোমা হামলায় জর্জরিত ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে শুরু হওয়া একটি বড় সামরিক ক্লিয়ারেন্স অপারেশন মূলত শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করে। ২০১৮ সালে আইন পাস হওয়ার পর উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে আনার পর নিরাপত্তার উন্নতি হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আফগান তালেবানদের ফিরে আসার পর থেকে পেশোয়ার এবং আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী সাবেক উপজাতীয় এলাকায় জঙ্গিরা সাহসী হয়ে উঠেছে।
উল্লেখ্য, অক্টোবর বা নভেম্বরে প্রত্যাশিত নির্বাচনের আগে পাকিস্তানের সরকার আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিলুপ্ত হতে চলেছে এবং রাজনৈতিক দলগুলো প্রচারণার প্রস্তুতি নিচ্ছে।