https://Dingdong77game.com https://www.olimpiocotillo.com/ https://www.rdcongoleopardsfoot.com/ https://takeoveranddestroy.com/ https://plaintextebooks.com/ https://moderate-ri.org/ https://addictedtoseries.com/ https://nasstimes.com/ https://ellenlanyon.com/ https://axres.com/ https://hbfasia.org/ https://pavlograd-official.org/ https://ape77slot.com/ https://ape77sport.com/ https://christopheranton.org/ https://eriksmith.org/ https://jaytotoslot.org/ https://mexicovolitivo.com/ https://www.dirtyjokepost.com/ https://bobasportgame.org/ https://139.180.186.42/dingdong77/ https://jaytoto.org/ https://superanunciosweb.com/ চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টি, পাহাড় ধসে পড়ল চলন্ত গাড়ির ওপর - atv sangbad চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টি, পাহাড় ধসে পড়ল চলন্ত গাড়ির ওপর - atv sangbad
রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
পার্বত্য চট্টগ্রামে ইন্টারনেটসেবা বন্ধ করা হয়নি: উপদেষ্টা নাহিদ ভোলার মনপুরায় ঝড়ের কবলে পড়ে মাছ ধরার ১০ ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ১ প্রধান উপদেষ্টা নিউইয়র্ক যাচ্ছেন সোমবার, জাতিসংঘে ভাষণ ২৭ সেপ্টেম্বর মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল বাংলাদেশকে অশান্ত করার পরিকল্পনা অনেকের: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ পেতে যমুনার সামনে আন্দোলনে আহতদের অবস্থান কর্মসূচি দেশের পার্বত্য অঞ্চল পরিদর্শনে তিন উপদেষ্টা রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সংঘর্ষে ২ তরুণ নিহত! রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি, দেশের ৬ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত

চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টি, পাহাড় ধসে পড়ল চলন্ত গাড়ির ওপর

রিপোর্টার নাম / ২৩ Time View
Update : শনিবার, ৫ আগস্ট, ২০২৩, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম প্রতিবেদক, এটিভি সংবাদ

টানা বৃষ্টির মধ্যে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের টাইগার পাস এলাকায় একটি পাহাড় ধসে মাইক্রোবাসের ওপর পড়ে। এই দুর্ঘটনায় সকাল ৭টা থেকে চার ঘণ্টা টাইগার পাস থেকে লালখানবাজার পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে। বৃষ্টিতে নগরের অনেক স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সাধারণ মানুষকে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়।

স্থানীয় লোকজন জানায়, পাহাড় ধসে গাড়িতে পড়লেও ভেতরে থাকা চালক বেঁচে যান। পাহাড়ধসের পাশাপাশি ছোট-বড় কয়েকটি গাছও ভেঙে প্রধান সড়কে এসে পড়ে। এতে সড়কে আটকে পড়ে যাত্রীরা। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর সকাল ১১টায় যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

জানতে চাইলে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক কালের কণ্ঠকে বলেন, এমনভাবে পাহাড় ধসে পড়েছে যে একদিকে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের দুটি উদ্ধারকারী দল ক্রেন এনে গাছ কেটে মাটি সরিয়ে গাড়িটি উদ্ধার করে। এরপর সড়কে থাকা মাটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। এই কাজ করতে সকাল ১১টা বেজে যায়।

বেঁচে যাওয়া মাইক্রোবাসের চালক জীবন বলেন, ‘সকালে গাড়ি নিয়ে বহদ্দারহাটের দিকে যাওয়ার পথে হঠাৎ পাহাড় ভেঙে মাটি আছড়ে পড়ে গাড়ির ওপর। আমি গাড়ি থেকে ছিটকে পড়লে প্রাণে রক্ষা পাই।’

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের হিসাবে, ২০২২ সাল পর্যন্ত গত ১৬ বছরে চট্টগ্রাম মহানগর এবং আশপাশের এলাকায় পাহাড়ধসে ২৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে; আহত হয়েছে অনেকেই। পাহাড় কাটার অভিযোগে জড়িতদের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ২০২২ সালে ২০টি এবং ২০২১ সালে ছয়টি মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

এত হতাহতের পরও চট্টগ্রামে পাহাড় কেটে অবৈধভাবে বসতি স্থাপন ও বসবাস বন্ধ করা যাচ্ছে না। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা বর্ষার আগে-পরে অভিযান চালাই। ১০ দিন আগেও অভিযান চালিয়েছি। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয় সেটির ধারাবাহিকতা থাকে না। ফলে অভিযুক্তরা জামিনে চলে এসে একই কাজ করে।’

অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা

রাতভর টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর অনেক প্রধান সড়ক, গলি ও নিচু এলাকার বাসাবাড়ি, দোকানপাট তলিয়ে যায়। বৃষ্টির পানি উঁচু এলাকা থেকে খাল ও নালা দিয়ে বের হতে না পারায় এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এর সঙ্গে একই সময়ে যোগ হয় সাগর থেকে আসা ব্যাপক জোয়ারের পানি। সব মিলিয়ে গতকাল সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টা নগরীর বিভিন্ন এলাকা পানিতে ডুবে ছিল। সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় বেশির ভাগ এলাকার মানুষ ঘর থেকে বের হয়নি।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বহদ্দারহাটের নিজ বাসভবনও হাঁটু সমান পানিতে তলিয়ে যায়। মেয়র এ সময় বাসায় আটকা পড়েন। তাঁর গাড়িও জলাবদ্ধতার কারণে বের হতে পারেনি।

অভিযোগ উঠেছে, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) খাল ও নালার মধ্যে থাকা মাটি অপসারণ না করায় জলাবদ্ধতা ব্যাপক আকার ধারণ করে। একই সঙ্গে এই প্রকল্পে ধীরগতির কারণে এখনো খালগুলোর মুখে স্লুইস গেট বা জলকপাট চালু করা যায়নি। এতে বৃষ্টির পানির সঙ্গে জোয়ারের পানি যোগ হয়ে জলাবদ্ধতা দীর্ঘায়িত হয়।

জানা গেছে, শ্রাবণ মাসে গত বুধবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম শহরে তেমন বৃষ্টির দেখা মেলেনি। দেশের অনেক স্থানে কিছুটা বৃষ্টি থাকলেও চট্টগ্রামে এর দেখা না মেলায় অসহনীয় দাবদাহে পোড়ে নগরবাসী। তবে দুই দিন হালকা বৃষ্টিপাতের পর বৃহস্পতিবার রাতভর টানা বৃষ্টি হয়। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয় জোয়ার। এতে পানিতে আটকা পড়ে নগরবাসী।

রাতভর বৃষ্টিতে নগরীর বহদ্দারহাট, শুলকবহর, মুরাদপুর, কাপাসগোলা, চকবাজার, বাকলিয়ার বিভিন্ন এলাকা, ফিরিঙ্গিবাজারের একাংশ, কাতালগঞ্জ, চান্দগাঁওয়ের শমসেরপাড়া, ফরিদারপাড়া, আগ্রাবাদের শান্তিবাগ আবাসিক এলাকা, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, রিয়াজউদ্দিন বাজার এবং হালিশহরের বিভিন্ন এলাকার সড়ক ও অলিগলি পানিতে তলিয়ে যায়।

শুলকবহরের বাসিন্দা ব্যাংকার আবিদুর রহিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি বাসার নিচে পানি। দরজা খুলতেই সব পানি ঘরে ঢুকে জিনিসপত্র এলোমেলো হয়ে যায়। ভারি বৃষ্টি ছিল, কিন্তু এত পানি হবে চিন্তাই করিনি। ভাগ্যিস বন্ধের দিন ছিল বলে বেঁচে গেছি।’

নগরীর চান্দগাঁও, চকবাজার, ষোলশহর এলাকার কাউন্সিলরদের অভিযোগ, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে খাল খনন শেষ হয়েছে। দুই পাশে দেয়াল নির্মাণও শেষ। কিন্তু খালে থাকা মাটি, ময়লা অপসারণ শেষ হয়নি। প্রকল্প কর্মকর্তারা যদি একটি একটি এলাকা ধরে কাজ শেষ করতেন তাহলে নগরবাসী এই জলাবদ্ধতায় পড়ত না। তাঁরা সবখানেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে কাজ করছেন। ফলে নগরবাসীর দুর্ভোগ কখন শেষ হবে তা কেউ জানে না।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা আবুল হাশেম বলেন, ‘চাক্তাই খাল হচ্ছে শহরের প্রধান খাল। এই খালে দেয়াল নির্মিত হয়েছে, নির্মিত হয়েছে স্লুইস গেটও। কিন্তু খালের মাটি পুরোপুরি অপসারণ করা হয়নি। এখানে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ করছে সিডিএ। বর্ষার আগে মাটি নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা বারবার বলেছি। কিন্তু সিডিএ সেটা না করায় শহর আবার পানিতে ডুবেছে। অথচ এবার জলাবদ্ধতা কম হবে বলে আমাদের ধারণা দেওয়া হয়েছিল।’

এটিভি/এস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ