ক্রীড়া ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
হারতেই বসেছিল ইন্টার মায়ামি। কিন্তু দলটিতে বিশ্বকাপজয়ী তারকা লিওনেল মেসি রয়েছেন, এটি হয়তো ভুলেই গেছিল প্রতিপক্ষ এফসি ডালাস। তাকে আটকাতে না পারায় জয় বঞ্চিত হয়েছে ডালাস। আর মেসির জোড়া গোলে নিশ্চিত হার থেকে রক্ষা পেয়েছে মায়ামি। সবমিলিয়ে জয় প্রত্যাশী ডালাসের সুখ যেন কেড়ে নিলেন মেসি।
সোমবার (৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টায় লিগস কাপের শেষ ষোলোতে মুখোমুখি হয় ইন্টার মায়ামি ও এফসি ডালাস। ম্যাচটিতে পূর্ণ সময়ে ৪-৪ গোলে ড্র করে দুদল। তাতে ম্যাচ সরাসরি টাইব্রেকারে গড়ায়। যেখান থেকে জয় তুলে নেয় মেসিদের দল ইন্টার মায়ামি। ম্যাচটিতে মায়ামির হয়ে জোড়া গোল করেন মেসি। তাতে টানা তিন ম্যাচে ক্লাবটির হয়ে জোড়া গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন এলএমটেন।
এ দিন ম্যাচের শুরু থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা যায় দুদলের মধ্যে। কিন্তু খেলার মাত্র ৬ মিনিটেই মায়ামিকে এগিয়ে দেন মেসি। বাঁ প্রান্ত দিয়ে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন মায়ামি ডিফেন্ডার জর্ডি আলবা। সেখান থেকে পেছনে অর্থাৎ ডি-বক্সের বাইরে দাঁড়ানো মেসিকে বল দেন তিনি। আর বল পেয়েই বাঁ পায়ের শট নেন আর্জেন্টাইন তারকা। দূর থেকে নেয়া মেসির ওই শটটি জালে জড়াতে বেশি সময় লাগেনি।
মেসির এমন পারফর্ম দেখে মুহূর্তেই কেঁপে ওঠে টয়োটা স্টেডিয়াম। ভক্তদের উল্লাসে যোগ হয় নতুন মাত্রা। একেতো মায়ামির লিড গোল তার ওপরে সেটি করেছেন সবচেয়ে বড় তারকা মেসি। দুইয়ে মিলে সমর্থকদের উত্তেজনার কমতি থাকে না। তবে খেলার ৩৭ মিনিটে সেই উত্তেজনায় জল ঢালেন ডালাসের মিডফিল্ডার ফ্যাকুন্ডো কুইগনন। তার গোলে ১-১ সমতা ফেরে ম্যাচে।
মধ্যমাঠ থেকে বল পান ডালাসের স্ট্রাইকার জেসুস ফেরেরা। তখন তার সামনে কেবল গোলরক্ষক। কিন্তু শট নেয়ার মুহূর্তে মায়ামির তিনজন ডিফেন্ডার চলে আসেন। তাদের কাটিয়ে সতীর্থ বার্নার্ড কামুঙ্গোকে বল দেন তিনি। আর গোলের সামনে বল পেয়ে সফল কিক নেন কামুঙ্গো। তাতেই বিরতির আগে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় ডালাস।
কিন্তু খেলার তখনও অনেক বাকি ছিল। ৮০ মিনিটে ফ্রি কিকের সুযোগ পায় মায়ামি। কিক নেন মেসি। তিনি সতীর্থদের কাছে বল দিতে ব্যর্থ হন। তবে গোলের সামনে দারুণ পজিশনে বল পাঠান বিশ্বকাপজয়ী তারকা। সেখান থেকে হেডের মাধ্যমে আত্মঘাতী গোল করেন বসেন ডালাসের মার্কো ফারফান। স্কোর তখন ৪-৩।
৮৪ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করে ৪-৪ সমতা ফেরান মেসি। তার ফ্রি কিকের শট সরাসরি জালে জড়ায় ডালাসের। মেসির জোরালো শট চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না গোলরক্ষক মার্টেন পেসের। তিনি চেষ্টা করেছিলেন মেসির শট ঠেকানোর, কিন্তু গোলপোস্টের যে প্রান্ত দিয়ে বল জড়িয়েছেন মেসি সেখান থেকে বল আটকানো ছিল অসম্ভব বিষয়। তাতে সমতায় দাঁড়নো ম্যাচ শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে জিতে নেয় মেসির দল।