ডায়াবেটিস মেলিটাস সংক্রান্ত জাতীয় নির্দেশিকা প্রণয়নের লক্ষ্যে নন-কম্যুনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল’কে (এনসিডিসি) কারিগরি সহায়তা প্রদান করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি (বাডাস)। উন্মোচিত এই নির্দেশিকা দেশের ডাক্তারদেরকে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য সঠিক চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিতে সাহায্য করবে। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ডায়াবেটিসের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঔষধ ও পরিচর্যার পাশপাশি রোগীদের ব্যক্তিগত সচেতনতা ও ব্যবস্থাপনা জ্ঞান থাকা জরুরী, যার মাধ্যমে স্বাস্থ্যঝুঁকির পরিমাণ কমিয়ে আনা যায়। ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশনের (আইডিএফ) তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে ডায়াবেটিক রোগীর সংখা ১ কোটি ৩১ লাখ, যা বিশ্বে ৮ম সর্বোচ্চ।
নির্দেশিকা উন্মোচন প্রসঙ্গে জাইকা’র সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ কোমোরি তাকাশি বলেন, রোগীদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে ডাক্তারদের সহায়তা করার জন্য ডায়াবেটিস মেলিটাস সংক্রান্ত জাতীয় নির্দেশিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে এনসিডিসি, ডিজিএইচএস, বাডাস ও বাংলাদেশ সরকারকে কারিগরি সহায়তা দিতে পেরে জাইকা আনন্দিত।
ডায়াবেটিস মেলিটাস সংক্রান্ত এই জাতীয় নির্দেশিকা বাংলাদেশে ডায়াবেটিস নির্ণয়, প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে প্রমাণ-নির্ভর দিকনির্দেশনা প্রদান করবে।
জাতীয় নির্দেশিকা উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ডা. এ কে আজাদ খান; জাইকা বাংলাদেশ’এর সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ কোমোরি তাকাশি; আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. আখতার হোসেন; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ; সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাইদুর রহমান; ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কম্যুনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন।