ক্রীড়া ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক হলেন সাকিব আল হাসান। শুক্রবার (১১ আগস্ট) নিজের বাসভবনে সাকিবকে অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
আসন্ন এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপে সাকিবের নেতৃত্বে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। বিশ্ব আসরের আগে তার নেতৃত্বেই খেলবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও। তবে সাকিব লম্বা সময়ের জন্য অধিনায়ক থাকছেন কিনা সেটা জানতে অপেক্ষা করতে হবে তার দেশে ফেরা পর্যন্ত।
সাকিবের সঙ্গে অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ছিলেন আরও দুইজন। তবে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় খেলার অভিজ্ঞতা এবং নেতৃত্বের অতীত রেকর্ড সাকিবকেই এগিয়ে রেখেছে বাকিদের চেয়ে। তাই সাকিবের কাঁধেই উঠেছে বিশ্বকাপের মতো আসরে নেতৃত্বের দায়িত্ব।
সাকিব অবশ্য এই প্রথমবার ওয়ানডে দলের অধিনায়ক হননি। তার অধীনে বাংলাদেশ এর আগেই অর্ধশত ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ফেলেছে। সাকিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল খেলেছে বিশ্বকাপের মতো আসরেও। সেখানকার পরিসংখ্যান বিচারে সাকিবকে সফল বা ব্যর্থ বলা অবশ্য বেশ কঠিন।
আপদকালীন সময়ে প্রথমবার বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়কত্ব পান সাকিব। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ইনজুরিতে পড়লে নেতৃত্বের দায়িত্ব এসে পড়ে সাকিবের কাঁধে। সেখানে নিজেকে প্রমাণ করায় পরের সিরিজেই তাকে ভারমুক্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে নেতৃত্ব দেয় বিসিবি।
২০০৯ সালের ২৬ জুলাই থেকে ২০১১ সালের ২১ আগস্ট পর্যন্ত টানা ৪৭ ওয়ানডেতে তার অধীনে খেলেছে বাংলাদেশ। এরপর মাশরাফীর অনুপস্থিতিতে ২০১৫ সালে দুটি ম্যাচ ও ২০১৭ সালে একটি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেন সাকিব।
সাকিবের নেতৃত্বে খেলা ৫০ ম্যাচের মধ্যে ২৩টিতে দলকে জয় পায় বাংলাদেশ। তার নেতৃত্বেই গড়ে ওঠে দলের নিয়মিত জয়ের অভ্যাস। এছাড়া তার নেতৃত্বে ২০১১ বিশ্বকাপে আনকোরা দল হয়েও বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে প্রায় উঠে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ দিকে ইংল্যান্ডের কামব্যাক এবং বাংলাদেশের বিপর্যয়ের কারণে সেটা অবশ্য সম্ভব হয়নি।
এটিভি/এস