আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় কুচকাওয়াজ আয়োজন করল পোল্যান্ড। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দেশটির রাজধানী ওয়ারশে এই কুচকাওয়াজ আয়োজন করা হয়। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর পোল্যান্ডের ক্ষমতাসীন জাতীয়তাবাদী ল অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির অগ্রাধিকার ছিল সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করা। এ ছাড়া নির্বাচনের আগে সমরাস্ত্রের প্রদর্শন করায় নিরাপত্তা ইস্যুতে তাদের অবস্থানও ভোটারদের সামনে তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছে দেশটির সরকার।
তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে পোল্যান্ডের জয়ের ১০৩তম বার্ষিকীতে সশস্ত্রবাহিনী দিবস কুচকাওয়াজ আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেয় পোল্যান্ডের ২ হাজার সেনা। তাদের সঙ্গে ছিল ২০০ সাঁজোয়া যান ও ৯২টি যুদ্ধবিমান। ছিল যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি আব্রামস ট্যাংক, দক্ষিণ কোরিয়ার কে-টু ট্যাংক, হিমার্স রকেট লঞ্চার ও প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার প্রদর্শনী।
কুচকাওয়াজে পোল্যান্ডর প্রতিরক্ষামন্ত্রী মারিউস ব্লাসজেক বলেন, ১৫ আগস্ট শুধু ওয়ারশ যুদ্ধে নিহত বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং মাতৃভূমি রক্ষায় জড়িত সেনাদের প্রতি ধন্যবাদ জানানোর উপলক্ষ নয়। এটি আমাদের শক্তি প্রদর্শনের জন্যও একটি উপযুক্ত দিন, আমরা যে শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলেছি যা কার্যকরভাবে আমাদের সীমান্তকে বিনা দ্বিধায় রক্ষা করবে, তাও তুলে ধরার দিন।
এদিকে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেয়ার বিষয়ে পশ্চিমা সামরিক জোটের চীফ অব স্টাফ স্টিয়েন জেনসেনের এক মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে কিয়েভ।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাতকারে জেনসেন বলেন, ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে হলে ইউক্রেনের কিছু ভূমি রাশিয়াকে দিতে হবে। জেনসেন জানান, চলমান যুদ্ধ বন্ধে কিয়েভকেই আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তবে জেনসেনের এসব মন্তব্যের সমালোচনা করে জেলেনস্কি প্রশাসন বলেছে, রাশিয়াকে কোন ধরনের ছাড় দেয়ার বিষয়টি একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এটিভি/এস