নিউজ ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য বিষয়ে ভালো-মন্দ বলার মত সময় এখনো আসেনি বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দিনগত রাতে খালেদার চিকিৎসক দলের এই সদস্য তথ্য জানান।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, চিকিৎসকরা ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। ভালো-মন্দ নিয়ে এখনই বলার সময় আসেনি। উনার শারীরিক অবস্থা একেবারে ভালো বা একেবারে খারাপ কোনোটিই বলা সম্ভব নয়।
হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে চিকিৎসকদের পরামর্শে গত ৯ আগস্ট দিনগত রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন।
এর আগে গত ১০ জুন দিনগত রাত পৌনে ৩টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল খালেদা জিয়াকে। সেখানে প্রায় দুই সপ্তাহ চিকিৎসা নিয়ে ২৪ জুন সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন তিনি। এর ঠিক দেড় মাস পর আবারও তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
‘বিদেশে যাওয়া যাবে না এবং বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিতে হবে’- এ দুই শর্তে অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তিতে রয়েছেন খালেদা জিয়া।
৭৭ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদরোগে ভুগছেন। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরা তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
সারাদেশে করোনা মহামারি চলাকালে ২০২১ সালের এপ্রিলে তিনি কোভিডে আক্রান্ত হন। এরপর বেশ কয়েকবার অসুস্থতার কারণে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর’-এর ধারা-৪০১ (১)-এর ক্ষমতাবলে সরকারের নির্বাহী আদেশে প্রথমবারের মতো শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তি পান খালেদা জিয়া। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়। এরপর দফায় দফায় বাড়ে তার মুক্তির মেয়াদ। সবশেষ গত মার্চ মাসে শর্ত অপরিবর্তিত রেখে আরও এক দফা তার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনে সায় দেয় সরকার।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়।
ওই বছরের ৩০ অক্টোবর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলে আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার সাত বছরের সাজা হয়।
এটিভি/এস