নিজস্ব প্রতিবেদক, এটিভি সংবাদ
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আঞ্চলিক রাজনীতিতে ভারত ও আমেরিকার এই ভূখণ্ডে অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। অভিন্ন স্বার্থের বিষয়ে তারা একে অন্যকে স্মরণ করিয়ে দিতে পারে।ওবায়দুল কাদের গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডি রবীন্দ্রসরোবরে আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটির আয়োজনে ডেঙ্গু সচেতনতা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন।আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা এই সম্পর্কে কোনো কথা বলতে চাই না।
ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। পঁচাত্তরে আমরা ক্ষমতা হারিয়েছি, তখন তো ভারত আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়নি। নির্বাচনের ব্যাপারে ভারত বা কোনো বিদেশি শক্তি কাউকে ক্ষমতায় বসাবে? ক্ষমতাচ্যুত করবে? যারা ভারতের হস্তক্ষেপ বলে, তাহলে একাত্তর সালে কী হয়েছিল? ভারত আমাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিল, তাদের সৈন্যরা রক্ত দিয়েছে, আমাদের লোকজনকে আশ্রয় দিয়েছে, অস্ত্র দিয়েছে, ট্রেনিং দিয়েছে, সেটা কি অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ নয়? ভারতের ভূখণ্ডে গিয়ে জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, সেটা কার হস্তক্ষেপ?’ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে, নির্বাচনের বিষয়ে, ভারত একবারও বলেনি যে তারা অমুককে চায়, অমুককে চায় না। আমাদের বসাবে বাংলাদেশের জনগণ।
বিএনপি তাকিয়ে আছে আমেরিকার দিকে। কখন নিষেধাজ্ঞা আসবে। আমরা পাবলিকের দিকে তাকিয়ে আছি। পাবলিক ক্ষমতায় রাখলে আমরা থাকব।
পাবলিক না রাখলে আমরা চলে যাব।বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের নেতা বিদেশে পালিয়ে গেছেন। কথায় কথায় পলায়নের কথা বলেন ফখরুল এবং মির্জা আব্বাস। লজ্জা করে না? আপনাদের দলের এখন যিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান, তিনি তো দণ্ডিত পলাতক। আমরা পালাব কেন? পালিয়েছেন তো আপনারা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারেক রহমানের কেন সৎসাহস নেই দেশে এসে আন্দোলন করে আপনাদের এক দফার বাণী প্রচার করতে? এই কাপুরুষ, এই ভীরু, পলাতক নেতার নেতৃত্বে রিমোট কন্ট্রোলে আন্দোলন বাস্তবায়িত হয়নি, রিমোট কন্ট্রোল আন্দোলন বাংলাদেশে হয় না।’ডেঙ্গুর ভয়াবহ বিস্তার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে চারদিক থেকেই বিপদ, নানা রকম বিপদ। আজকে ডেঙ্গু থেকে সাবধান।
ডেঙ্গুর মতো ভয়ংকর বিএনপি থেকেও সাবধান। আজকে দেশের প্রধান দুই শত্রু, বিএনপি ও ডেঙ্গু। আসুন আমরা সম্মিলিতভাবে এই শত্রু প্রতিরোধ করি।’অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংসদ সদস্য প্রাণ গোপাল দত্ত। বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান প্রমুখ।
এটিভি/এস