অনলাইন ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
চলতি বছর চিকিৎসাশাস্ত্রে যৌথভাবে নোবেল পদক পেয়েছেন ক্যাটালিন কারিকো এবং ড্রিউ উইসম্যান। কোভিড-১৯’র বিরুদ্ধে কার্যকর এমআরএনএ টিকার বিকাশে সহায়ক নিউক্লিওসাইড বেস পরিবর্তনের বিষয়ে আবিষ্কারের জন্য এই পুরস্কার পেলেন তারা। সোমবার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে ৪টায় সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ বছর বিজয়ী হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করেছে।
প্রযুক্তিটি মহামারীর আগে পরীক্ষামূলক থাকলেও বর্তমানে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের উপর প্রয়োগ করা হয়েছে এবং জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। একই এমআরএনএ প্রযুক্তি এখন অন্যান্য রোগ এমনকি ক্যান্সারের জন্যও গবেষণা করা হচ্ছে। যাতে করে অদূর ভবিষ্যতে ক্যান্সারের টিকা আবিস্কার করা যায়।
ক্যাটালিন কারিকো ২০২২ সাল পর্যন্ত বায়োএনটেকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং আরএনএ প্রোটিন প্রতিস্থাপনের প্রধান ছিলেন এবং তারপর থেকে তিনি কোম্পানির উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। এ ছাড়াও তিনি হাঙ্গেরির সেজেড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক এবং পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পেরেলম্যান স্কুল অফ মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক। ড্রিউ উইসম্যান পেরেলম্যান স্কুলে ভ্যাকসিন গবেষণার অধ্যাপক।
মেডিসিনে এই বছরের পুরস্কারের জন্য এগিয়ে ছিলেন আমেরিকান জীববিজ্ঞানী কেভান শোকাট। যিনি ফুসফুস, কোলন, এবং অগ্ন্যাশয়ের টিউমারসহ এক তৃতীয়াংশ ক্যান্সারের জিনকে ব্লক করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন।
এ ছাড়া দুই আমেরিকান জীববিজ্ঞানী, স্ট্যানিসলাস লেইব্লার এবং মাইকেল এলোভিটজও সিন্থেটিক জিন সার্কিট নিয়ে কাজ করার জন্য এগিয়ে ছিলেন যা সিন্থেটিক জীববিজ্ঞানের ক্ষেত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) ঘোষণা করা হবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীর নাম। আর বুধবার (৪ অক্টোবর) রসায়নে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।
প্রতিবছর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুদিবস ডিসেম্বরের ১০ তারিখে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেওয়া হয়। এ সময় তাদের একটি করে সনদ ও স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। তবে এ বছর থেকে পুরস্কারের অর্থমূল্য ৮৯ হাজার মার্কিন ডলার বাড়িয়ে ৯ লাখ ৮৯ হাজার ডলার করা হয়েছে (১১ লাখ ক্রোনা)।