ক্রীড়া ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে ৩ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটিতে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা দুই দলই একটি করে ম্যাচে জয় পায়। ফলে তৃতীয় ও শেষ টি-২০ ফাইনালে পরিণত হয়। যেখানে লড়াই করেও হার মেনেছে টাইগাররা। একই সঙ্গে সিরিজও হেরেছে।সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাত উইকেটে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে শ্রীলংকা। জবাবে ১৯.৪ ওভারে ১৪৬ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের হার ২৮ রানে। এর মাধ্যমে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে লংকানরা।
রান তাড়া করতে নেমে এদিন মাত্র ৭ রানে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। ধনঞ্জয় ডি সিলভাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে শানাকার তালুবন্দী হন তিনি। পরের গল্পটা নুয়ান থুসারার। নিজের প্রথম ওভারে আক্রমণে এসেই মেইডেনসহ হ্যাটট্রিকের দেখা পান তিনি।
ওভারের দ্বিতীয় বলে শান্তকে বোল্ড করে শুরু। পরের বলে বোল্ড হন তাওহীদ হৃদয়। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন থুসারা। নিজের পরের ওভারে সৌম্যকে বোল্ড করেন এ পেসার।
আক্রমণে এসে উইকেটের দেখা পান ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তার বলে সাজঘরে ফেরেন জাকের আলী। ৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে অল্পেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে টাইগাররা। এ অবস্থায় সপ্তম উইকেটে ৪৪ রানের জুটি গড়েন মেহেদী হাসান ও রিশাদ হোসেন। ব্যক্তিগত ১৯ রানে মেহেদী ফেরেন। সতীর্থদের ব্যর্থতার দিনে দলকে আশার আলো দেখান রিশাদ। একের পর এক বল বাউন্ডারির বাইরে ফেলতে থাকেন তিনি। সেই সুবাদে ২৬ বলে পেয়ে যান ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির দেখা। লড়াই চালিয়ে যাওয়া রিশাদ ৫৩ রানে আউট হন। তার বিদায়ের পর শেষ চেষ্টা করেন তাসকিন আহমেদ। তবে এ পেসারের ২১ বলে ৩১ রানের ক্যামিও দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন থুসারা।
এর আগে আজ টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত। বল হাতে শুরুতেই সাফল্য পান তাসকিন আহমেদ। তার বলে ব্যক্তিগত ৮ রানে আউট হন ধনঞ্জয় ডি সিলভা। কামিন্দু মেন্ডিস ১২ রানের বেশি করতে পারেননি। এদিকে ব্যাটিং অর্ডারে উপরে নামলেও ১৫ রানে সাজঘরে ফেরেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। চারিথ আসালঙ্কা করেন ৩ রান। একপ্রান্তে সতীর্থরা আসা যাওয়ার মাঝে থাকলেও অন্যপ্রান্তে দলকে একাই টেনে নিতে থাকেন ওপেনার কুশল মেন্ডিস।
৩৫ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণ করেন মেন্ডিস। তাসকিনের বলে আউট হওয়ার আগে ৫৫ বলে ক্যারিয়ার সেরা ৮৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শেষদিকে ১৮ রানের ক্যামিও খেলেন দাসুন শানাকা। তাসকিন ও রিশাদ দুটি এবং শরিফুল ও মুস্তাফিজুর একটি করে উইকেট নেন।