ক্রীড়া ডেস্ক, এটিভি সংবাদ :
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সময়টা একদমই ভালো কাটছে না বাংলাদেশের। ব্যাটারদের ক্রমাগত ব্যর্থতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ হার দলের দুর্বলতাকে আরও সামনে তুলে এনেছে। তবে এতকিছুর মধ্যেও শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
২৫ বছর ধরে আইসিসির বিভিন্ন বিশ্বকাপে খেলছে বাংলাদেশ। শিরোপা জয় তো দূরের কথা, এখন পর্যন্ত কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালেও খেলতে পারেনি টাইগাররা। তবে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন তো সব দলেরই থাকে। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশেরও স্বপ্ন বিশ্বজয় করা। বিশ্বকাপের বিমান ধরার আগে এমন লক্ষ্যের কথা জানিয়ে গেছেন টাইগার অধিনায়ক শান্ত।
বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ধারাবাহিকভাবে বিসিবির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে প্রতিদিন প্রকাশিত হচ্ছে বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের সাক্ষাৎকার। এই সিরিজে বুধবার (২৯ মে) প্রকাশিত হয়েছে শান্তর সাক্ষাৎকার। সেখানে বিশ্বকাপ নিয়ে দলের লক্ষ্য এবং অবস্থান নিয়ে কথা বলেছেন অধিনায়ক।
অধিনায়কের সঙ্গে বিশ্বকাপ নিয়ে কথা বলতে গেলেই সবার আগে আসে দলের লক্ষ্যের প্রসঙ্গ। শান্তর সাক্ষাৎকারেও উঠে এসেছে সেটি। বিশ্বকাপে দলের লক্ষ্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘সম্ভাবনা আমি বলতেই চাই না। কারণ আপনিও চান বাংলাদেশ শিরোপা জিতুক। খেলোয়াড়েরাও চায় বাংলাদেশ দল কাপ জিতুক। এটাই সবচেয়ে বড় লক্ষ্য।’
স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে বাস্তবতাকে অবশ্য ভুলে যাননি শান্ত। রাতারাতি সাফল্যের চেয়ে ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করতেই বেশি আগ্রহী তিনি, ‘অধিনায়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রস্তুতিটা ঠিকমতো নিয়েছি কি না, ছোট ছোট কাজগুলো করছি কি না, প্রক্রিয়াটা ঠিক আছে কি না এই জিনিসগুলো যদি আমরা ঠিকভাবে করতে পারি, প্রতিটি ম্যাচে আমাদের শক্তি অনুযায়ী খেলতে পারি, তাহলে ফল আসবেই। তাই ফল নিয়ে খুব একটা চিন্তা নেই। ছোট ছোট জিনিসগুলো যেন আমরা ঠিক করতে পারি, এটা নিয়ে বেশি মনোযোগী।’
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার থাকাকে বাড়তি সুবিধা বলে মনে করছেন শান্ত, ‘এটা অনেক বড় প্লাস পয়েন্ট মনে হয় আমার কাছে। এমন ক্রিকেটার যখন দলে থাকে, বিশেষ করে যারা তরুণ, অনেকেই আছে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবেন তাদের জন্য অনেক অনুপ্রেরণা দেবে মনে হয়। পাশাপাশি তাদের তো অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতাও আছে। আশা করি কঠিন সময়ে কোনো সাহায্য দরকার হলে তারা করবেন এবং এখন সেটাই করছেন। বিশ্বকাপে এর ব্যতিক্রম হবে না বলেই আমি আশা করি।’
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন সাকিব আল হাসান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগের সবগুলো আসরে খেলেছেন তিনি। তার কথাটা শান্ত বললেন আলাদা করেই, ‘আলাদাভাবে যদি বলেন, আমি বলব যে সাকিব ভাই তার অভিজ্ঞতা সব ক্রিকেটারের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন। তিনি গত বছরগুলোয় যে যে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছে, সেসব তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে দিলে তারা অনেক উপকৃত হবে এবং এরই মধ্যে সেটা তিনি করছেন।’
৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এই বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তার আগে দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রথম ম্যাচটি ইতোমধ্যেই পরিত্যক্ত হয়েছে। এখন চোখ ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচের দিকে।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অবস্থান ডি গ্রুপে। শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচের পর গ্রুপ পর্বে খেলতে হবে আরও তিনটি ম্যাচ। ম্যাচগুলো হবে যথাক্রমে ১০ জুন দক্ষিণ আফ্রিকা, ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস ও ১৭ জুন নেপালের সাথে। গ্রুপের শীর্ষ দুইটি দল পৌঁছে যাবে সুপার এইটে।