নিউজ ডেস্ক, এটিভি সংবাদ :
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে বিদেশে পালিয়ে গেছেন কি না তা জানা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, যারা দুর্নীতি করেছে সবার তথ্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে। দুর্নীতিবাজরা বিচারের আওতায় আসছে।
শুক্রবার (৩১ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।
বিএনপি নাকি আজিজ ও বেনজীরের মতো দুর্নীতিবাজদের তালিকা করছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি দুর্নীতিবাজদের তালিকা করলে প্রথমেই আসবে তাদের নেতাদের নাম। কারণ তাদের অধিকাংশ নেতাই দুর্নীতিবাজ। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে, হাওয়া ভবন তৈরি করেছে, বিদ্যুতের খাম্বা লাগিয়ে বিদ্যুৎ দেয়নি। সব টাকা দুর্নীতের মাধ্যমে নিজেদের পকেটে ভরেছে।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নয়। বাংলাদেশও সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে আমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। সম্ভাবনা আছে বলেই বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ বাংলাদেশকে সাপোর্ট করছে।
বিএনপির গণতন্ত্রকে ‘কারফিউ’ উল্লেখ করে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ ছাড়া অন্যদেশের গণতন্ত্র, নির্বাচন ও মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে না পশ্চিমারা। বিএনপির গণতন্ত্র ছিল ‘কারফিউ গণতন্ত্র’। বিএনপি গণতন্ত্রকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গিয়েছিল। নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রহসনে রূপ দিয়েছিল বিএনপি।
এছাড়া সম্মেলন ছাড়া মির্জা ফখরুল বিএনপি মহাসচিব কীভাবে থাকেন- সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
এর আগে, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীরের ৬২১ বিঘা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে তার গুলশানের আলিশান ৪টি ফ্ল্যাট ও ৩৩টি ব্যাংক একাউন্ট। এতো সম্পদ কীভাবে গড়লেন বেনজীর, তা জানতে ৬ জুন তলব করা হয়েছে তাকে। স্ত্রী ও সন্তানকে ডাকা হয়েছে ৯ জুন।
অন্যদিকে, দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তার (আজিজ আহমেদ) কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অবমূল্যায়ন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার ওপর জনগণের আস্থা কমেছে। এছাড়া আজিজ আহমেদ তার ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহিতা এড়াতে সহযোগিতা করেন।
‘এ সময় তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন বলেও জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। এছাড়া অন্যায্যভাবে সামরিক খাতে কাজ পাওয়া নিশ্চিত করতে তিনি তার ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। তিনি নিজের স্বার্থের জন্য সরকারি নিয়োগের বিনিময়ে ঘুষ নিয়েছেন।’
এরপর আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান।