নিউজ ডেস্ক, এটিভি সংবাদ :
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে জনকল্যাণহীন বলে আখ্যায়িত করেছেন ১২ দলীয় জোট নেতারা। সেইসঙ্গে বাজেট প্রত্যাখ্যান করে তারা বলেছেন, এই বাজেট ঋণনির্ভর, অদূরদর্শী ও বাস্তবায়নের অযোগ্য। জনরায়হীন একটি অবৈধ সরকারের বাজেট কখনোই জনগণের কল্যাণে আসতে পারে না।
বৃহস্পতিবার বিকালে ১২ দলীয় জোট সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতারা এসব কথা বলেন।
জোট নেতারা বলেন, রাজস্ব আহরণের ঘাটতির ফলে সরকারকে অতিমাত্রায় বিদেশি ও অভ্যন্তরীণ ঋণের ওপর নির্ভরশীল বাজেট প্রণয়ন করতে হয়েছে। ১২ বিলিয়ন ডলার ঋণের ওপর সুদ পরিশোধ করতে হবে যা প্রস্তাবিত বাজেটের রাজস্ব আয়ের এক-তৃতীয়াংশ। বর্তমানে দেশে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ এক লাখ ৬০ হাজার ছুঁই ছুঁই। অথচ প্রস্তাবিত বাজেটে বিশাল ঘাটতি পূরণের কোনো দিকনির্দেশনা নেই।
ঋণ ও ঘাটতি ভিত্তিক এত বড় বাজেট আগেও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি এবারও সম্ভব হবে না দাবি করে ১২ দলের নেতারা বলেন, আর্থিক খাতের সংস্কার ও দুর্নীতি, হরিলুটের অপ্রয়োজনীয় মেগা প্রকল্পের ব্যয় কমানোর কোনো উদ্যোগ এ সরকার গ্রহণ করেনি। সেই সঙ্গে বেনজির ও আজিজের মত মহা দুর্নীতিবাজ তৈরিতে ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে এই অবৈধ দুর্নীতিবাজ সরকার কালো টাকা সাদা করার বিধান রেখেছে এই বাজেটে।
প্রস্তাবিত বাজেটকে গরিবের পকেট কাটার বাজেট আখ্যায়িত করে জোটের নেতারা বলেন, কুইক রেন্টালের ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ সরকার বছরে ৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে থাকে। এই বাজেটে আওয়ামী লীগ ও লুটেরাদের পকেট ভারি করার লক্ষ্যেই গরিবের পকেট কাটা হচ্ছে। বিবৃতিতে বাজেট প্রত্যাখ্যান করে তারা বলেন, একটি অগতান্ত্রিক, স্বৈরাচার ও জনরায়হীন সরকারের থেকে আমরা কখনোই জনবান্ধব ও কল্যাণকর বাজেট প্রত্যাশা করতে পারিনা।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ১২ দলীয় জোট প্রধান জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব ও বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম।