ক্রীড়া ডেস্ক, এটিভি সংবাদ :
২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বসেছিল বাংলাদেশে। চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ৩৯ রানে সব কটি উইকে হারায় নেদারল্যান্ডস। সেটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার নজির। লজ্জার ওই রেকর্ডে ডাচদের পাশে বসল উগান্ডা। প্রথম বার বিশ্বকাপে খেলতে আসা দেশটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অলআউট হলো ৩৯ রানে, পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে আগের ম্যাচেই বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম জয় পেয়েছিল তারা।
প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে ৫ উইকেটে ১৭৪ রানের টার্গেট দিয়েছিল উইন্ডিজ। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৯ রানেই ইনিংস গুটিয়ে গেল উগান্ডার, সহআয়োজকরা জিতেছে ১৩৪ রানের বড় ব্যবধানে। রানের হিসাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বড় জয়। কেনিয়ার বিপক্ষে ১৭২ রানের জয় আছে শ্রীলঙ্কার।
রান তাড়া করতে নামা উগান্ডাকে গুটিয়ে দিতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন আকিল হোসেন। বাঁহাতি স্পিনার ১১ রান দিয়েই নেন ৫ উইকেট। উদ্বোধনী জুটিটা ভাঙেন তিনিই। ওপেনার রজার মুকাসাকে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরান তিনি।
সিমন সেসাজিকে রোমারিও শেফার্ড ও রবিনসন ওবুয়াকে আন্দ্রে রাসেল শিকার করেন। আলপেশ রামজানি, কেনেথ ওয়াইসয়া, রিয়াজাত আলী শাহ ও দিনেশ নাকরানির উইকেট নেন আকিল। আলজারি জোসেফের শিকার হন ব্রায়ান মাসাবা ফ্রাঙ্ক সুবুগা। উগান্ডার হয়ে দলীয় সর্বোচ্চ ১৩ রান করতে সক্ষম হন জুমা মিয়াগি। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের ফিগারে পৌঁছাতে পারেননি।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেউ বড় ইনিংস খেলেননি, তা সত্ত্বেও বড় সংগ্রহের জন্য বেগ পেতে হয়নি তাদের। সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন জনসন চার্লজ। তবে তার ইনিংসটা টি-টোয়েন্টিসুলভ ছিল না। ৪৪ রান করতে ৪২ বল খেলেন তিনি। অবশ্য শেষের দিকে তা পুষিয়ে দেন আন্দ্রে রাসেল। শেষ ওভারে ১৮ রান তোলা রাসেল ১৭ বল খেলে অপরাজিত থাকেন ৩০ রানে।
ব্রান্ডন কিং ১৩ রানে ফিরে গেলে নিকোলাস পুরান উইকেটে স্থির হওয়ার চেষ্টা করেন। ২২ রান করার পর ব্রায়ান মাসাবার ওভারে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। চার্লজ বিদায় নেন দলীয় ১০৫ রানে। এরপর অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল ও শেরফান রাদারফোর্ড ছোট ছোট ইনিংসে দলকে সহায়তা করেন। পাওয়েল ১৮ বলে ২৩ ও রাদারফোর্ড ১৬ বলে ২২ রান করেন। রোমারিও শেফার্ড করেন ৫ রান। উগান্ডার হয়ে ২ উইকেট নেন মাসাবা। একটি করে উইকেট পান আলপেশ রামজানি, কসমাস কায়েউটা ও দিনেশ নাকরানি।