https://Dingdong77game.com https://www.olimpiocotillo.com/ https://www.rdcongoleopardsfoot.com/ https://takeoveranddestroy.com/ https://plaintextebooks.com/ https://moderate-ri.org/ https://addictedtoseries.com/ https://nasstimes.com/ https://ellenlanyon.com/ https://axres.com/ https://hbfasia.org/ https://pavlograd-official.org/ https://ape77slot.com/ https://ape77sport.com/ https://christopheranton.org/ https://eriksmith.org/ https://jaytotoslot.org/ https://mexicovolitivo.com/ https://www.dirtyjokepost.com/ https://bobasportgame.org/ https://139.180.186.42/dingdong77/ https://jaytoto.org/ https://superanunciosweb.com/ বিএনপির প্রত্যাখ্যান সরকারের প্রস্তাবিত বাজেট বিএনপির প্রত্যাখ্যান সরকারের প্রস্তাবিত বাজেট – atv sangbad
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১২ পূর্বাহ্ন

বিএনপির প্রত্যাখ্যান সরকারের প্রস্তাবিত বাজেট

রিপোর্টার নাম / ৪৩ Time View
Update : রবিবার, ৯ জুন, ২০২৪, ৮:১৮ অপরাহ্ন

নিউজ ডেস্ক, এটিভি সংবাদ :

প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। রোববার বিকালে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায় বিএনপি।

দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এ বাজেট কর-নির্ভর, ঋণ নির্ভর ও লুটেরা-বান্ধব। অসহনীয় মূল্যস্ফীতির চাপে সাধারণ জনগণের ত্রাহী অবস্থা, এর ওপর বাজেটে কররের বোঝা। জবাবদিহিতা ছাড়া এ সরকারের কাছ থেকে জনকল্যাণমূলক বাজেট আশা করাটাই বোকামি। এ বাজেট দেশি-বিদেশি ঋণ ও সাধারণ জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া করের নির্লজ্জ ফিরিস্তি ছাড়া আর কিছুই নয়।

তিনি বলেন, বাজেট প্রণয়নের জন্য যে সম্পদ প্রয়োজন, সেটাই এ অলিগার্করা লুট করে নিয়েছে। ব্যাংকগুলো খালি। সরকারের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে অলিগার্করা ঋণ নিয়ে ব্যাংকগুলোকে শূন্য করে দিয়েছে। এ অর্থের সিংহভাগই বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। আমানতকারীরা ব্যাংকে তাদের নিজস্ব জমাকৃত অর্থের চেক ক্যাশ করতে পারছেন না। মানুষের মধ্যে নজিরবিহীন হাহাকার দেখা দিয়েছে। তবে এ হাহাকার সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট ও সুবিধাভোগী নব্য ধনীদের জন্য নয়। সাধারণ মানুষের রক্ত চুষে দিব্যি ভালো আছেন তারা। অন্যদিকে গরিব আরও গরিব হচ্ছে। যেকোনো সময় মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যেতে পারে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ বাজেট একদিকে সর্বগ্রাসী দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ধ্বংসপ্রায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ অন্যদিকে গণমানুষের অর্থনৈতিক দুরবস্থার সঙ্গে এক নিষ্ঠুর তামাশা মাত্র। জনগণের সঙ্গে এক করুণ ও হৃদয়বিদারক প্রতারণাই বটে।

মির্জা ফখরুল বলেন, জনসাধারণের ম্যান্ডেট ছাড়াই বছরের পর বছর ধরে একটি অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে রয়েছে। যে সরকার নিজেই আইন-কানুন ও সংবিধান লঙ্ঘন করে ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ডামি সংসদ বানিয়েছে, এমন সরকারের পক্ষে বাজেট প্রদানের কোনো নৈতিক অধিকার নেই। জনগণই সব ক্ষমতার উৎস। অথচ সেই জনগণই ভোট দিতে পারেনি। এ সরকার জনপ্রতিনিধিত্বহীন একটি অবৈধ সরকার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য এ সরকারের প্রস্তাবিত বাজেট দেশের সাধারণ দরিদ্র মানুষদের শোষণের লক্ষ্যে একটি সাজানো হাতিয়ার মাত্র।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান লুটেরা সরকারের এ বাজেট কেবলমাত্র দেশের গুটিকয়েক অলিগার্কদের জন্য, যারা শুধু চুরিই করছেন না, তারা ব্যবসা করছেন, তারাই পলিসি প্রণয়ন করছেন, আবার তারাই দেশ চালাচ্ছেন। দেশ আজ দেউলিয়াত্বের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। এ বাজেট কল্পনার এক ফানুস। এ বাজেট ফোকলা অর্থনীতির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।

ফখরুল বলেন, এ বাজেট শুধু গণবিরোধী নয়, এ বাজেট বাংলাদেশ বিরোধী। যে গণমানুষকে নিয়ে বাংলাদেশ, সেই গণমানুষের অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে পড়েছে। পুরো বাজেটটিই করা হয়েছে মেগা-প্রকল্প ও মেগা চুরি এবং দুর্নীতি করার জন্য। অর্থনীতির এ অবস্থায় উচিত ছিল অপ্রয়োজনীয় মেগা প্রকল্পসমূহ বা অর্থহীন, অনুৎপাদক দৃশ্যমান অবকাঠামোগুলো বন্ধ রাখা। সেই অর্থ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ জনকল্যাণমুখী খাতে ব্যবহার করা যেত, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী আরও সম্প্রসারিত করা যেত। কিন্তু সেগুলো বন্ধ করলে তো দুর্নীতির পথ বন্ধ হয়ে যাবে।

এ বাজেট কালো টাকাকে সাদা করার বাজেট মন্তব্য করে তিনি বলেন, কালো টাকায় ঢালাও দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ১৫ শতাংশ কর দিয়ে ব্যক্তির সঙ্গে যে কোনো কোম্পানিকেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সরকারের কোনো সংস্থাই কালো টাকা সাদাকারীদের কোনো ধরনের প্রশ্ন করতে পারবে না। অর্থাৎ দায়মুক্তি বা আইনি ছাড় দেওয়া হলো। এর ফলে সৎ ও বৈধ আয়ের করদাতাদের নিরুৎসাহিত এবং দুর্নীতিকে সরকারিভাবে উৎসাহিত করা হলো। দুর্নীতি করার এহেন লাইসেন্স প্রদান অবৈধ, অনৈতিক ও অসাংবিধানিক।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ১৫ শতাংশ করে কালো টাকা সাদা করার বিপরীতে সৎ করদাতাদের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ হারে কর দেওয়ার বিধান বৈষম্যমূলক ও অসাংবিধানিক। এ পদক্ষেপ সংবিধানের ২০ (২) অনুচ্ছেদের পরিপন্থি। কথায় কথায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের বুলি যারা আওড়ায় তাদের পক্ষে রাজস্ব বৃদ্ধির খোড়া যুক্তিতে দুর্নীতির বৈধ লাইসেন্স প্রদান যে অনৈতিক সাংঘর্ষিক, তা জেনে শুনেই দুর্নীতিবাজ সরকার অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের দুর্নীতির এ লাইসেন্স দিচ্ছে। সরকারের আনুকূল্যে বেড়ে ওঠা আজিজ- বেনজীরদের মতো দুর্নীতিবাজদের কালো টাকা সাদা করার ঢালাও সুযোগ সৃষ্টির জন্যই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ