সৈকত মনি, এটিভি সংবাদ
রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত স্টার কাবাব এন্ড রেস্টুরেন্টে কাচ্চি বিরিয়ানির সঙ্গে পচা ও গন্ধযুক্ত টিক্কা দেওয়ার প্রতিবাদ করায় এক গ্রাহককে মারধরের ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে স্টার কাবাব এন্ড রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না এ প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। মঙ্গলবার স্টার কাবাব এন্ড রেষ্টুরেন্টের সিইও এস এম মনিরুজ্জামানের স্বাক্ষরিত এক প্রতিশ্রুতিনামা প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিশ্রুতিনামায় ক্ষমাস্বরূপ এক হাজার এতিম শিশুকে একবেলা খাওয়ানোরও অঙ্গীকার করে স্টার কাবাব।
গ্রাহক সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলককে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যয় ও ক্ষতিপূরণ দিতে চাইলে তিনি ক্ষমার শর্তস্বরূপ এক হাজার এতিমকে একবেলা বিনামূল্যে খাবার দিতে বলেন স্টার কাবাব এন্ড রেষ্টুরেন্টের কর্তৃপক্ষকে। সে অনুযায়ী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে এক হাজার এতিম শিশুকে একবেলা উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিবৃতিতে স্টার কাবাব জানিয়েছে- রোববার বিকেলে আমাদের বনানী স্টার কাবাবে একজন গ্রাহকের সঙ্গে একজন কর্মচারীর ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে উদ্ভূত অনভিপ্রেত ঘটনার জন্য আমরা অত্যন্ত দুঃখিত ও লজ্জিত। সেইসঙ্গে আমরা গ্রাহকের কাছে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে তাৎক্ষণিকভাবে শাস্তির আওতায় এনে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সে ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
এ ব্যাপারে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার বলেন, স্টার কাবাবে সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলক নামের এক ব্যক্তির ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রোববার দুপুরে স্টার কাবাবের বনানী শাখায় সাংবাদিক ও কৃষিবিদ সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলককে মারধর করা হয়। অলোক তার এক বন্ধুর সামনে পরিবেশন করা খাবারে গন্ধ পাওয়ার অভিযোগ করলে স্টার কাবাবের ম্যানেজার বলেন, ‘জীবনে টিক্কা খাননি আপনি। এটা এমনই হয়।’ এ কথা শুনে গ্রাহক প্রতিবাদ করলে আরও তিনজন গ্রাহকও একই অভিযোগ করেন। এতে ম্যানেজার কলিংবেল চেপে সব স্টাফকে জড়ো করেন এবং স্টাফরা অলককে ধাক্কা দিতে দিতে দোতলা থেকে নিচতলায় নামান এবং নিচতলায় সিঁড়ির নিচে ফেলে ব্যাপক মারধর করেন। এতে স্টার কাবাবের ১৪ থেকে ১৫ জন কর্মী হামলায় অংশ নেন। পরে আহত সাংবাদিক অলককে কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।