চট্টগ্রাম প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ
চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।
রোববার সকাল ছয়টা থেকে আবার উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক বলেন, ‘শনিবার রাতে উদ্ধার কাজ স্থগিতের পরও সারারাত ঘটনাস্থলে আমাদের টহল দল ছিল। রোববার সকাল ছয়টা থেকে আমাদের উদ্ধার কাজ আবার শুরু হয়েছে ৷ আমরা সেখানে সার্চ করছি এখন।’
এছাড়াও শনিবারের বিস্ফোরণের পর ফায়ার সার্ভিসের বিশেষায়িত ‘হ্যাজমট টিম’ ঘটনাস্থলে এসেছিল বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত ২০ জন ভর্তি হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নিহত সেই ৬ জনই। তবে আহত ২০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। অন্যদিকে সীতাকুণ্ডের একটি হাসপাতালে চারজন ভর্তি আছেন বলে জানতে পেরেছি। সেই হিসেবে এখন আহত ২৪ জন। তবে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২০ জনের মধ্যে একজন হাসপাতাল ছেড়েছেন।’
শনিবার বিকেল চারটার দিকে চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পরপরই প্ল্যান্ট ও পাশের তিন তলা অফিস ভবনে আগুন লেগে যায়। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
বিস্ফোরণে প্ল্যান্টের পাশে অফিস ভবনের কাঁচের জানালা ভেঙে পড়ে। ধসে পড়ে ইটের দেয়াল। তাছাড়া বিস্ফোরণের তীব্রতায় কেঁপে ওঠে আশেপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা। আশেপাশে সহ আধা কিলোমিটার দূরেও ছিটকে পড়ে লোহার টুকরো। আর তাই প্ল্যান্টে ১১ জনের মত কাজ করলেও হতাহতের সংখ্যা তার কয়েকগুণ।