কুমিল্লা প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ
কুমিল্লার বরুড়ায় প্রেমিকের সহযোগিতায় এক তরুণীকে (১৯) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার শাকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন শামিম (২৩), জাকির হোসেন (৩৫) ও রুবেল (২৭)। তাদের সবার বাড়ি উপজেলার শাকপুর গ্রামে। ঘটনার পর থেকে প্রেমিক রাফি (২১) পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, ৫ মাস আগে ফেসবুকে ভুক্তভোগী তরুণীর সঙ্গে উপজেলার শাকপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে রাফির পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাফি ওই তরুণীকে ফোন করে তার বাড়িতে যেতে বলে। বরুড়া থেকে ভুক্তভোগী ওই তরুণী একটি সিএনজিযোগে রাফির বাড়িতে যায়। তখন রাফির মা ভুক্তভোগীকে দেখে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
পরে ভুক্তভোগী নিরুপায় হয়ে সিএনজিযোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। শাকপুর গ্রামের ইঞ্জিনিয়ার গেইটের সামনে পৌঁছালে ওই গ্রামের শামিম ও জাকির হোসেন সিএনজির গতিরোধ করে। এ সময় তারা ভুক্তভোগী ও সিএনজি চালককে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক ওই গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে রুবেল আগে থেকেই অবস্থান করছিল। তারা সিএনজি চালককে বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে বলে। পরে রুবেল, শামিম ও জাকির হোসেন রাত ১২টা পর্যন্ত ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর সিএনজিতে তুলে দেয়। সিএনজি চালক রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভুক্তভোগীকে বরুড়ার ভাউকসার রাস্তার মোড়ে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে ওই তরুণী বরুড়া থানায় গিয়ে বুধবার ভোরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। পরে পুলিশ সিএনজি চালক মো. শাকিলকে সিএনজিসহ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার দেওয়া তথ্যমতে, পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে রুবেল, শামিম ও জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
বরুড়া থানার ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই তরুণীর প্রেমিক রাফির ইন্ধন ছিল বলে স্বীকার করেছে। রাফিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। রুবেল ও জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ তিনটি মামলা এবং শামিমের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Copyright © 2023 Atv Sangbad (A Concern of Aparadh Anusondhan Ltd) All rights reserved