আরিফুল ইসলাম, রংপুর, এটিভি সংবাদ
রংপুর মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ৬ষ্ঠ সহকারি প্রকল্প পরিচালক সঞ্জয় কুমার পালের অনিয়ম, দূর্নীতি ও অর্থ নেওয়ার অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।
রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে পাবলিক লাইব্রেরীর হল রুমে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাবিত্রী রাণী রায়, ধরিত্রী রাণী।
লিখিত বক্তব্যে বলেন, রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার চাঁদকুটির ভাঙ্গা বারোয়ারি দূর্গা মন্দিরের একজন নিয়মিত (শিক্ষক সাবিত্রী রাণী) লিখিত নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রাক প্রাথমিকের একজন নিয়মিত শিক্ষিকা আমরি কোড নম্বর (৩৮৭২) আমি প্রতিষ্ঠানের ৪ বছর থেকে শিক্ষকতা করে আসিতেছি। করোনা কালীন সময়ে আমি যে বেতন পেয়েছিলাম তার মধ্য থেকে তারা ১০ হাজার টাকা করে নিয়েছিলো ও বলেছিলো আপনাদের মন্দিরে কোন সমস্যা হবে না।
কিন্তু এভাবে তারা বার বার আমাদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার জন্য আমাদের অন্যান্য শিক্ষকদের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ করান এমনকি তারা অনেক কে চাকরি দেওয়ার জন্য অর্থ নিয়েছেন। অনেক শিক্ষকদের কাছ থেকে মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ৬ষ্ঠ সহকারি প্রকল্প পরিচালক সঞ্জয় কুমার পাল ও বনানী সরকার বলেন মন্দির কমিটি ও সদস্যদের কথার কোন মূল্য নেই, তারা ২৯-০৭-২০২৩ ইং তারিখ যখন আমরা ৭০ (সত্তর হাজার) টাকা পেয়েছিলাম তখন তপন স্যারের কাছ থেকে বনানী পাল ১০ হাজার করে টাকা চায় কিন্তু আমরা ৭ হাজার টাকা প্রদান করি। ৫-২-২৩ তারিখ তারা আমাদের নতুন করে নিয়োগ দেওয়ার পর ৬ মাসের মধ্যে আবার অর্থের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এমনকি আমি কেন্দ্রের সব কাজ সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করার পরেও তারা আমার উপর মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে সম্পাদকের মাধ্যমে ১ লক্ষ টাকা দাবি করে। মন্দিরের সম্পাদকের মাধ্যমে ১ লক্ষ টাকা চেয়ে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে হঠাৎ সার্কুলার দেন এবং আমাকে বাতিল বলে ঘোষনা দেন।
রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার দক্ষিন কোলকোন্দ দোলাপাড়া হরি মন্দির শিক্ষক শ্রীমতি ধরিত্রী রাণী রায় শিক্ষক কোড নং- (৩৯০৯) একই উপায়ে আমার কাছেও ১০ হাজার টাকা দাবি করলে আমি কেন্দ্র শিক্ষক লক্ষন চন্দ্র রায়, কমল চন্দ্র রায় ও ফটিক চন্দ্র রায় এর হাতে গত ১৯-৭-২০২৩ইং তারিখে ৭ হাজার টাকা প্রদান করি। টাকা নেওয়ার পর উপরোক্ত ব্যক্তিরা বলেন আমরা টাকা নিয়েছি আপনার আর কোন সমস্যা হবে না। নিয়মিতভাবে শিক্ষার্থীদেরকে পাঠদান করে যান। কিন্তু তার পরেও তারা আমাদের কেন্দ্রে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এমনকি আমরা জানতে পারি যে উপরোক্ত ব্যক্তিরা অন্যকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ১ বছর থেকে তারা ১ লক্ষ টাকা করে নতুন শিক্ষক নিয়োগের জন্য চুক্তি করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আরো বিশ^স্ত সুত্রে জানতে পারছি যে, একই উপজেলার দক্ষিন কোলকন্দ মাষ্টারপাড়ার রতন চন্দ্র রায়ের স্ত্রী লতা রাণী রায়ের কাছ থেকে ফটিক চন্দ্র রায় ১ লক্ষ টাকা দিয়ে চাকুরী নেওয়ার জন্য পায়তারা করছে এবং নতুন শিক্ষার্থী সংগ্রহ করে রাখছে বলে জানা যায়। প্রয়োজনে শ্রীমতি ধরিত্রী রাণী রায়ের শিক্ষক নিয়োগের আবেদন ও নিয়োগের কাগজটি অন্যত্র রেখে তোমার নামে আবেদন ও নিয়োগ কাগজটি অফিসের ফাইলে রাখা হবে।
এছাড়াও ঢাকায় হেড অফিসে জানানো হবে পুরাতন ঐ শিক্ষক চাকুরী করবে না বলে আমরা বড় স্যারকে জানাবো। দক্ষিন কোলকোন্দ দোলাপাড়া হরি মন্দিরের সভাপতি সম্পাদকের মাধ্যমে চাকুরী পূনরায় ফেরতের সুপারিশ করানের কথা বললে তারা বলেন যেহেতু এখানে নতুন করে শিক্ষক নেয়া হচ্ছে তাই তোমার আর নতুন করে চাকরী ফিরে পাওয়ার কোন সুযোগ নাই বলে দিয়েছেন। সঞ্জয় কুমার পাল ও বনানী সরকার দুজনেই এই অফিসে যোগদান করার পর থেকে বেশ কয়েকজনের চাকুরীচ্যুত করেছেন।