পিরোজপুর, এটিভি সংবাদ
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ৬১ নং দক্ষিণ পূর্ব ধাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অলি নেওয়াজ রিপন এর বিরুদ্ধে টেন্ডার ছাড়াই বিদ্যালয়ের একটি দামি মেহগনি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি এ গাছ বিক্রির ঘটনায় পিরোজপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আমলী আদালতে উক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জসীম উদ্দিন মল্লিক। তিনি জানান, বিদ্যালয়ের সভাপতি কিংবা শিক্ষা অফিসারের অনুমতি না নিয়ে প্রধান শিক্ষক সাড়ে ১৭ হাজার টাকায় একটি মেহগনি গাছ বিক্রি করে নিজেই তা আত্মসাত করেন। তাই তার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছি। মামলা নং ২০২৪ (ভা:) ।
এ বিষয়ে ৬১ নং দক্ষিন পূর্ব ধাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুমানা আক্তার জানান, প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক অন্যায়ভাবে গাছ বিক্রি করে সেই টাকা নিয়ে আত্মসাত করেছে। গাছ কেটে বিক্রি করার বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও শিক্ষা অফিসারের কাছ থেকে লিখিত কোন প্রকার অনুমতি গ্রহন করেননি। এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
সাবেক ইউপি সদস্য কালাম হোসেন জানান, স্কুলের সম্পত্তি সংলগ্ন একটি মেহগনি গাছ দীর্ঘদিন বিদ্যালয় মাঠে পড়ে ছিলো। উক্ত মেহগনি গাছটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিক্রি করেছে এবং ওই গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করেছে। তিনি ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করেন।
স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হাওলাদার জানান, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমার কাছে একটি বড় মেহগনি গাছ বিক্রি করেছেন। গাছটি আমি ১০ হাজার টাকায় কিনেছি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক অলি নেওয়াজ রিপন বলেন, এ ঘটনায় আমি কোন বক্তব্য দিবো না। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
ভাণ্ডারিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: অহিদুল জামান বলেন,৬১ নং দক্ষিণ পূর্ব ধাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কাটার বিষয়ে অবগত নয়। ঘটনাটি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভাণ্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াছিন আরাফাত রানা বলেন, টেন্ডার ছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটার নিয়ম নেই। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।
Copyright © 2023 Atv Sangbad (A Concern of Aparadh Anusondhan Ltd) All rights reserved