আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এটিভি সংবাদ :
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে দের আল-বালাহ এলাকায় আল-আকসা হাসপাতাল। এই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আহত মানুষের ঠাঁই হচ্ছে না। পাশের আজ-জাওয়াইদা এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখান থেকেই আহত ব্যক্তিদের আনা হয়েছে হাসপাতালটিতে।
সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাসের পর এটিই ছিল গাজায় প্রথম ইসরায়েলি হামলা। শুধু দের আল-বালাহই নয়, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পরও গাজার বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলে মিসর সীমান্তের রাফা এলাকা এবং গাজা সিটিতে মঙ্গলবার নৃশংস হামলা হয়েছে। রাফার একটি বাসায় বোমার আঘাতে ৪ শিশুসহ নিহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। অনেকে আহত হয়েছেন। গাজা সিটিতে ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর উপত্যকাটিতে ইসরায়েলের হামলার শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩২ হাজার ৪১৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে আগের ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৮১ জন। আর হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় আহত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৭৮৭ জন। হতাহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সোমবার ওই প্রস্তাব পাস হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় পরিষদের ১৫ সদস্যদেশের ১৪টিই। ভোটদানে বিরত ছিল ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে বারবার ভেটো দিয়েছিল দেশটি। এবার যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিবর্তন হতাশ করেছে ইসরায়েলকে। নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাস হলে তা আন্তর্জাতিক আইনে পরিণত হয়। তা মেনে চলার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যদেশের। এ আইন ইসরায়েলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তবে প্রস্তাব পাসের পর ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা এই প্রস্তাব মানবেন না। গাজায় যুদ্ধবিরতি দেওয়া হবে না। একই ভাষ্য দেশটির অন্য নেতাদেরও।
গাজায় হামলা চালিয়ে সেটা জানান দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার জানিয়েছে, গাজার ৬০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে তারা। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, আগের দিন গাজা নগরীর আল-শিফা হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকায় হামলা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এতে হামাসের অনেক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
Copyright © 2023 Atv Sangbad (A Concern of Aparadh Anusondhan Ltd) All rights reserved