ক্রীড়া ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
একটি দলের পরিপূর্ণ বোলিং লাইনআপ কেমন হয়? পেসার, পেস বোলিং অলরাউন্ডার, অফ স্পিনার এবং লেগ স্পিনার—এই তো? যে রকম হলে বোলিং আক্রমণটা বৈচিত্র্যপূর্ণ হয়। এর সঙ্গে যোগ করতে পারেন একজন বাঁহাতি স্পিনার। যেকোনো দলের জন্য সোনায় সোহাগা বোলিং লাইনআপই বলা যায়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গতকাল প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলের একাদশ দেখে কি এমন কিছুই মনে ঘুরপাক খেয়েছে? তাহলে সেই ভাবনাটা অমূলক নয়।
এবার আসা যাক পেস বোলিং অলরাউন্ডারের কাছে। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে দিয়ে এই ফাঁকা জায়গাটা পূরণের চেষ্টা অনেক দিনের। কিন্তু তিনি যে থেকেও থাকেন না! চোট তাঁর নিত্য সঙ্গী। গতকাল বাংলাদেশ একাদশে ফিরেছেন দীর্ঘ ১৮ মাসের বিরতির পর। সর্বশেষ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছিলেন হ্যাগলি ওভালে, ২০২২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে। লম্বা বিরতির পর গতকাল সাইফউদ্দিনের প্রত্যাবর্তনটা হয়েছে মনে রাখার মতো। পঞ্চম ওভারে প্রথমবার তাঁর হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। চার ওভারের কোটা পূরণ করে ১৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়ে ফেরা যেমন রাঙিয়েছেন, তেমনি তাঁর ওপর রাখা আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন।
আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যখন শুরুর অপেক্ষায়, তখন সাইফউদ্দিনের এভাবে ফেরা বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য চিন্তামুক্তির কারণও হতে পারে। সাইফউদ্দিনের অন্তর্ভুক্তি যে বোলিং বিভাগে বৈচিত্র্যের সঙ্গে পূর্ণতাও এনে দিচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। দল ঘোষণার সময় এ জন্যই নির্বাচক প্যানেলের সদস্য হান্নান সরকার বলেছিলেন, ‘স্পিনে আমরা বৈচিত্র্য রাখার চেষ্টা করেছি। ডানহাতি অফ স্পিনার ও বাঁহাতি লেগ স্পিনার। এর সঙ্গে চারজন পেসার রয়েছে। এর মধ্যে সাইফউদ্দিনের নাম রয়েছে। সাইফউদ্দিনকে আমরা অলরাউন্ডার হিসেবে বিবেচনা করি। জিম্বাবুয়ে সিরিজে তাকে সেভাবেই খেলানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’ বোলিং বিভাগে বাংলাদেশের এমন পূর্ণতার অপেক্ষা তো অনেক দিনের।
Copyright © 2023 Atv Sangbad (A Concern of Aparadh Anusondhan Ltd) All rights reserved