ক্রীড়া ডেস্ক, এটিভি সংবাদ :
ব্যাটে-বলে বাংলাদেশ দলের বড় শক্তির জায়গা সাকিব আল হাসান। টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের ভূমিকা আরও কার্যকরী। ৪ ওভার বোলিংয়ের পাশাপাশি মাঝ ওভারে তার ব্যাটিং দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সাকিব যখন তার কোনো বিভাগে পারফর্ম করতে না পারেন, দলের জন্য সমন্বয় করাটা কঠিন হয়ে যায়।
গেল বিপিএলেই দেখুন, চোখের সমস্যা কারণে কয়েকটি ম্যাচে সাকিব ব্যাটিং করতে পারেননি। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আর ঘরোয়া ক্রিকেট তো এক নয়। গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাকিব বল করেছেন স্রেফ ১ ওভার। তার মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের জন্য যা একেবারেই বেমানান।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ম্যাচ হারার কারণ নিয়ে ইএসপিএনফোর আলোচনায় কথা বলেছেন তামিম ইকবাল। সেখানে সাকিবের বোলিং কোটা পূর্ণ না হওয়ায় সমস্যা হিসেবে দেখছেন তিনি।
সাকিবের বোলিং পারফরম্যান্স নিয়ে তামিম বলেন, ‘সাকিব আমাদের সেরা বোলার। তার ৪ ওভার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে অভিজ্ঞ বোলার। সে বছরের পর বছর ধরে র্যাংকিংয়ে শীর্ষ অলরাউন্ডার। ফলে সে যদি ৪ ওভার বল করতে না পারে, তাহলে সেটা অবশ্যই সমস্যা।’
শুধু বোলিং নয়, ব্যাটিংয়েও সাকিবের ফর্ম যাচ্ছেতাই। গতকাল চারে নেমে করেছেন ৪ বলে ৩ রান। যে উইকেটে মাটি কামড়ে পড়ে থাকার কথা, সেখানে অ্যানরিচ নর্টচের বিপক্ষে পুল শটতে খেলতে যান সাকিব। ব্যাটে-বলে ঠিকমতো সংযোগ না হওয়ায় সেটা হয় সহজ ক্যাচ।
আগের দিন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিতে পারলে এমন ম্যাচ জেতার কথা বাংলাদেশের। কিন্তু দলের বিপদ বাড়িয়ে উইকেট বিলিয়ে দেন সাকিব।
বিশ্বকাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ব্যাটে-বলে দুই বিভাগেই নিষ্প্রভ ছিলেন সাকিব। বোলিংয়ে ৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩০ রান খরচায় উইকেটবিহীন ছিলেন এই অলরাউন্ডার। আর ব্যাটিংয়ে সাকিব করেন ১৪ বলে মাত্র ৮ রান।
গ্রুপপর্বের বাকি দুই ম্যাচে সাকিবের কাছ থেকে বড় কিছু প্রত্যাশা থাকবে বাংলাদেশের। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে সবকয়টি আসরে খেলেছেন সাকিব। তার মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের অফ ফর্ম টাইগারদের দুশ্চিন্তাই বলা যায়।
Copyright © 2023 Atv Sangbad (A Concern of Aparadh Anusondhan Ltd) All rights reserved