নিউজ ডেস্ক, এটিভি সংবাদ :
ঢাকার ধামরাই পৌর শহরের ধানসিঁড়ি প্রকল্পে চারতলা একটি ভবন হেলে পড়েছে পাশের ছয়তলা ভবনের ওপর। এতে দুটি ভবনই ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। রোববার ভোর ৪টার দিকে ওই ভবনটি হেলে পড়ার ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পৌর মেয়র গোলাম কবীর মোল্লা, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের সদস্যসহ বিশেষ একটি টিম নিয়ে সকাল ৬টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তার নেতৃত্বে ওই দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে ১৮টি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই ভবন দুটিকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পৌরসভার কোনো প্রকার অনুমোদন না নিয়েই আবাসিক প্রকল্পের চলাচলের রাস্তা দখল করে পাইলিং ছাড়াই চারতলা ভবনের মালিক দন্ত চিকিৎসক জিয়া সিকদার ভবনটি নির্মাণ করেন। ফলে ভবনটির ছাদে ফাটল ধরে এবং পুরো ভবনটি পাশের শামসুর রহমানের মালিকানাধীন ছয়তলা ভবনের উপর হেলে পড়ে। ফলে ওই দুটি ভবনেই বসবাসের জন্য চরম ঝুঁকি দেখা দেয়।
ধামরাই ফায়ার সার্ভিস সিনিয়র স্টেশন অফিসার সোহেল রানা বলেন, চারতলা ভবনটি পার্শ্ববর্তী শামসুল হক নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন ছয়তলা ভবনের পাশে কিছুটা হেলে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ওই ভবন দুটি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে আনা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা যায়- ভবনটির অনুমোদন নেই। সেখানে স্থানীয় মেয়র ও ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন।
ধামরাই পৌরসভার মেয়র গোলাম কবীর মোল্লা বলেন, ভবনটি দেখেছি। রোববার প্রকৌশলী গিয়ে পরিদর্শনের পর এটির বিষয়ে করণীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত বাড়িটি সিলগালা করা হলো। বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মো. মামুন আব্দুল্লাহ বলেন, মেয়র ওই ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। ভবনটি যেহেতু পৌরসভার আওতায়, ফলে তারা তাদের প্রকৌশলী পাঠিয়ে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।