নিজস্ব প্রতি্বেদক: জাতীয় সংসদে একটি আসন— সকল রাজনীতিবিদের জীবনে একবার হলেও থাকে এ প্রত্যাশা। সেই প্রত্যাশা পূরণের সুযোগ আসে প্রতি পাঁচ বছর পর পর। চলতি ২০২৪ সালেও এমন এক পরীক্ষার সামনে দাঁড়িয়েছেন প্রায় দুই হাজার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আর তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয় সাধারণ জনগণের ভোটের মাধ্যমে। তাই সেই স্বপ্ন পূরণে সাধারণ ভোটারের দরজায় দাঁড়াতে হয় প্রার্থীদের। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি।
সাধারণের দ্বারে দ্বারে গিয়ে প্রার্থীরা চেয়েছেন ভোট। বিভিন্ন রকমের ব্যানার-পোস্টারের সঙ্গে মিছিল, গণসংযোগ, সমাবেশ, সভা, মতবিনিময়সহ নানা উপায়ে ভোটারদের আকর্ষণ ও ভরসা আদায়ের চেষ্টা করেছেন তারা। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণার সময়। এখন শুধু ভোটারদের রায় প্রয়োগের অপেক্ষা।
আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনকে সামনে রেখে শুক্রবার সকাল ৮টায় শেষ হয়েছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। মূলত ইসির নিয়মানুযায়ী— ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে শেষ করতে হয় প্রচার-প্রচারণা। সেই নিয়ম মেনেই সারা দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সকল ধরনের প্রচার-প্রচারণার সমাপ্তি হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আজ শুক্রবার সকাল ৮টায় প্রচারের সময় শেষ হয়েছে। এক্ষেত্রে কেউ আইন না মানলে ছয় মাসের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডিত হতে পারে। কমিশন চাইলে শুনানি করে কারো প্রার্থিতাও বাতিল করতে পারে।
জানা যায়, দেশের জাতীয় সংসদে আসনসংখ্যা ৩০০ থাকলেও এবার ২৯৯ আসনে নির্বাচন হচ্ছে। নওগাঁ-২ আসনের এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যু হলে বিধি অনুযায়ী আসনটির ভোট স্থগিত করেছে ইসি। এর ফলে ২৯৯ আসনে ভোটাররা জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পাবেন। ঠিক একদিন পরই শুরু হবে জাতীয় সংসদের জন্য জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের পর্ব। ৭ জানুয়ারি (রোববার) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে এসব আসনে।
সবচেয়ে বেশি প্রার্থী ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের
এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী রয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের। হাইকোর্ট থেকে ৩ জন প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় দলটির প্রার্থীর সংখ্যা ২৬৬ জন।
এ ছাড়া, জাতীয় পাটির ২৬৫ জন, তৃণমূল বিএনপির ১৩৫ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১২২ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ৯৬ জন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ৫৬ জনসহ ২৮টি রাজনৈতিক দলের মোট প্রার্থী সংখ্যা এক হাজার ৫৩৪ জন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪৩৬ জন। নির্বাচনে ৯০ জন নারী প্রার্থী ও ৭৯ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মাঠে যেসব রাজনৈতিক দল
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৮টি এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। তবে দেশের বড় রাজনৈতিক দল হওয়া সত্ত্বেও এ নির্বাচন বয়কট করেছে বিএনপি। দলটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ একাধিক দাবিতে নির্বাচনে অংশ নেয়নি।
এ ছাড়া, নির্বাচনে ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, গণ ফোরাম, গণফ্রন্ট, জাকের পার্টি, জাতীয় পাটি, জাতীয় পার্টি-জেপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, তৃণমূল বিএনপি, ন্যাশনাল পিপলস পাটি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম.এল) ও গণতন্ত্রী পার্টি প্রার্থী দিয়েছে।
যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ৭২ ঘণ্টা মোটরসাইকেল ও ২৪ ঘণ্টা সর্বসাধারণের যান চলাচলের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এ সময় কেবল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসনের সদস্য ও অনুমোদিত পর্যবেক্ষক, জরুরি সেবার যানবাহন, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও অভিন্ন কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র এবং সংবাদপত্র বহনকারী সব ধরনের যানবাহন, দূরপাল্লার যানবাহন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের এজেন্টদের ক্ষেত্রে এই বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে। সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক, নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, জাতীয় মহাসড়ক, প্রধান আন্তঃজেলা রুট, মহাসড়ক এবং প্রধান মহাসড়কের সংযোগ সড়কের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে।
২৯৬৪ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার যাবে কাল
ভোটগ্রহণের আগের দিন ৬ জানুয়ারি (শনিবার) দুই হাজার ৯৬৪ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ছাড়া, ভোটের দিন সকালে ৩৯ হাজার ৬১ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার যাবে। এবার মোট কেন্দ্র রয়েছে ৪২ হাজার ২৫।
জানা যায়, ভোটগ্রহণের দিন সংশ্লিষ্ট সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিকট থেকে ব্যালট পেপার সংগ্রহ করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার সাথে সকাল ৬টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসারের নিকট হস্তান্তর করবেন। ভোটগ্রহণের দিন সকালে ব্যালট পেপার পরিবহনের বিষয়ে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন।
ভোটে নারী প্রার্থী ৯০, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ৭৯
এবারের জাতীয় নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে মোট ১ হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সারা দেশে দলীয় প্রতীক ও স্বতন্ত্র থেকে মহিলা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রার্থীরাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ইসির দেওয়া তথ্যানুযায়ী, সারা দেশে দলীয় ও স্বতন্ত্র থেকে মোট ৯০ মহিলা প্রার্থী ভোটে অংশগ্রহণ করছেন। অন্যদিকে, দেশের বিভিন্ন সংসদীয় আসন থেকে ৭৯ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রার্থী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটে লড়াই করবেন। মহিলা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মিলে মোট ১৬৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন দেখার জন্য যে বিদেশিরা আবেদন জানিয়েছিলেন তাদের মধ্যে ১৮৬ জন পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাদের মধ্যে ১২৭ জন পর্যবেক্ষক আর ৫৯ জন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের কর্মী।
এ ছাড়া, নির্বাচন দেখতে দেশি ২০ হাজার ৭৭৩ জন পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দিয়েছে ইসি। তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে ৪০টি পর্যবেক্ষক সংস্থার ৫১৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৮৪টি পর্যবেক্ষণ সংস্থার ২০২৫৬ জন ভোট পর্যবেক্ষণ করবে। এ ছাড়া, নির্বাচনে ২৭টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে এক হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনের ব্যয় প্রায় ২৩শ কোটি টাকা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে প্রায় ২৩শ কোটি টাকা। এ নির্বাচনে আসনপ্রতি ৭ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিশাল এ বাজেটের বেশিরভাগ অর্থই ভোটের দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে ব্যয় হবে।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাজেট বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৪৫৪ কোটি ৪৯ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। এই ব্যয়ের তিন ভাগের দুই ভাগই রাখা হয়েছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য।
জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে প্রাপ্ত চাহিদা অনুযায়ী সম্ভাব্য ব্যয় প্রায় ১ হাজার ২২৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা এবং নির্বাচন পরিচালনা খাতে সম্ভাব্য ব্যয় ১ হাজার ৫০ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
নির্বাচনে ২২ সদস্যের মনিটরিং সেল গঠন
নির্বাচন উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে ২২ সদস্যের মনিটরিং সেল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই মনিটরিং সেলের নেতৃত্ব দেবেন আইডিএ প্রকল্প-২ এর প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম।
যেসব দায়িত্ব পালন করবে মনিটরিং সেল—
• নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী মনিটরিং সেল আগামী ৬ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ৯ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত মোট ৭২ ঘণ্টা পরিচালনা করা হবে।
• দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে মাঠপর্যায়ে যথাসম্ভব যাচাই-বাছাই করা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে অবহিতকরণ এবং জরুরি প্রয়োজনে বিশেষ প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
• সেলে অন্তর্ভুক্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধি কর্তৃক নির্বাচন উপলক্ষ্যে মোতায়েনকৃত আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানানো;
• ভোটকেন্দ্র বা নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় সাধন;
• বিভিন্ন নির্বাচনী মালামাল পরিবহণ, বিতরণ এবং ভোটগ্রহণ কাজে নিরাপত্তা বিধানের জন্য মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং ও প্রিজাইডিং অফিসারদের সহায়তা প্রদান এবং
• সংস্থার নিজস্ব যোগাযোগ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা তাৎক্ষণিকভাবে মাঠপর্যায়ে নিয়োজিত বাহিনীকে অবহিতকরণ।
• রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে স্ব-স্ব নির্বাচনী এলাকাসমূহের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক ঘটনাবলী নির্বাচন কমিশন সচিবালয় কর্তৃক পরিচালিত আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং অ্যাপসে তাৎক্ষনিকভাবে এন্ট্রি করে নির্বাচন কমিশনে গঠিত কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেলে প্রেরণ করতে হবে।
৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা
সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ সময় পর্যন্ত লাইসেন্সধারীরাও আগ্নেয়াস্ত্র বহন করতে পারবেন না।
এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে ঘোষিত তফসিল অনুসরণে আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত লাইসেন্সধারীদের আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে। এই আদেশ লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ‘অস্ত্র আইন ১৯৭৮’ এর সংশ্লিষ্ট ধারার বিধান অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী
ভোটের মাঠে গত ৩ জানুয়ারি থেকে দায়িত্ব পালন করছে সশস্ত্র বাহিনী। ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৮ দিন মাঠে থাকবে তারা।
ইসি জানায়, ৩০০ সংসদীয় আসনে আগামী ৩ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগের জন্য আদেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ।
যেসব সহায়তা করবে সশস্ত্র বাহিনী
১. সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা/উপজেলা/মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট এবং সুবিধাজনক স্থানে নিয়োজিত থাকবে।
২. রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে সমন্বয় করে জেলা/উপজেলা/থানায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরকে মোতায়েন করা হবে।
৩. নির্বাচনী সশস্ত্র বাহিনীর টিমের সঙ্গে রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক অ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে এবং আইন, বিধি ও পদ্ধতিগতভাবে কার্যক্রম গৃহীত হবে।
৪. সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে ও সমন্বয়ের মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান চূড়ান্ত করা হয়ে যান বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার এর অনুরোধক্রমে চাহিদামত আইনানুগ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে।
৫. ভোটগ্রহণের দিন, তার আগে ও পরে কার্যক্রম গ্রহণ ও মোতায়েনের সময়কালসহ বিস্তারিত পরিকল্পনা করতে হবে।
প্রসঙ্গত, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে ২৯৯ আসনে মোট এক হাজার ৯৭০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।