আসিফ খন্দকার :
পুরো নাম জান্নাতুল ফেরদৌস নিঝুম।বাবা আব্দুল হামিদ এবং মা ঝুনু আকতার। পড়াশোনা করছে একাদশ শ্রেণীতে,ঢাকা কমার্স কলেজে।
প্রথমে সে মানুষের নজরে আসে একজন মেকাপ আর্টিস্ট হিসেবে। ছোটোবেলায় শখের বসে সাজতে পছন্দ করা নিঝুম একসময় মানুষ কে সাজানো শুরু করে প্রশংসা অর্জন করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে Makeup by Nijhum পেইজ খুলে সে প্রফেশনালি মেকাপ আর্টিস্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
এখানেই থেমে থাকেনি। ক্রাফট এর কাজ পারতো সে।সেখানে প্রফেশনালিজমের স্কোপ দেখে বানানো শুরু করে গিফট বক্স এবং তা মানুষের পছন্দও হয়।পড়াশোনার পাশাপাশি তখন অনলাইনে একটি বিজনেস দাঁড় করিয়ে ফেলে নিঝুম। তার আরেকটি পেইজ Craft’s by Nijhum থেকে প্রতিনিয়ত গিফট বক্স অর্ডার হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।
শুধু যে পড়াশোনা আর নিজের ব্যবসা তাই ই নয়,অন্যদের বিজনেস প্রমোশনেও নিঝুমের নামডাক অনেক। সে একজন ব্রান্ড প্রমোটার।অনেক ব্রান্ডের মডেল হিসেবে কাজ করেছে। Rup Fassion World Showroom এর ব্রান্ড এম্বাসেডর হিসেবে কাজ করার পরে এখন Surovy’s magic box এর ব্রান্ড এম্বাসেডর সে। এছাড়া বিভিন্ন বিজনেস প্রতিনিয়ত তাদের পণ্যের প্রমোশনের জন্য নিঝুম কে বেছে নিচ্ছে।
এসব সামলে সে আবার ছোটোবেলার শখ মডেলিং কেও সময় দিয়েছে। মিস এভারগ্রিন বাংলাদেশের দ্বিতীয় ধাপ থেকে ফিরে এসেছে সে।তবে এত ব্যস্ততার পরেও এতটুকু সাফল্য তারকাছে অপ্রত্যাশিতই ছিলো বলে জানায় নিঝুম।
হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতা পূর্ণ প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেও এতকিছু কিভাবে সামলায় জানতে চাইলে নিঝুম বলে, ” টাইম ম্যানেজমেন্ট আসলে ইচ্ছেশক্তির দ্বারাই সম্ভব।আপনি যদি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন কিছু করার,আপনি ঠিকই সময় বের করতে পারবেন”। এতকিছু করার পেছনে নিজেকে অনুপ্রানিত কিভাবে করে এ প্রসঙ্গে নিঝুম বলে, “যেখানে আমাদের দেশে বেশীরভাগ স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর পড়াশোনা করা ছেলে মেয়েরাও বাবা-মায়ের উপর নির্ভরশীল সেখানে নিজের উপার্জনে নিজের শখ পুরণ করতে পারার আনন্দই আমার অনুপ্রেরণা “।
ভবিষ্যৎ এ কি হতে চায় জানতে চাইলে সে জানায় তার এয়ার হোস্টেজ এর জবটা ভালো লাগে।পাশাপাশি তার বিজনেস,ইনফ্লুয়েন্সার ক্যারিয়ার এবং মিডিয়া পারসোনালিটি হিসেবেও সে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।
নিঝুমের জন্য এটিভি সংবাদের পক্ষ থেকে অনেক শুভ কামনা রইলো।