নিউজ ডেস্ক, এটিভি সংবাদ :
বাংলাদেশে কর্মরত বৈধ-অবৈধ বিদেশি কর্মীদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী তিন মাসের মধ্যে এই তালিকা জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আর অবৈধ বিদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের ব্যর্থতাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনে প্রাথমিক শুনানির পর মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসাইন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
বিদেশি কর্মীদের সংখ্যা ছাড়াও আদালত জানতে চেয়েছেন, দেশের বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে যেসব পদে বিদেশি কর্মীরা কাজ করছেন, সেসব পদের বিপরীতে দেশে যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা কত।
এই প্রতিবেদন দিতে পররাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজিপিসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
আর অর্থসচিব, পররাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও অতিরিক্ত মহাপরিদর্শককে দিতে হবে রুলের জবাব।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এম সারোয়ার হোসেন। সঙ্গে ছিলেন সালাউদ্দিন রিগ্যান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ, আনিচ উল মাওয়া।
ঢাকার চার বাসিন্দা গত বছরের ১৯ নভেম্বর বিবাদীদের আইনি নোটিশ দেন। তারা অভিযোগ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক-সম্মান পাস করে এখনও শিক্ষিত বেকার থাকতে হচ্ছে।
নোটিশে দেশে বৈধ ও অবৈধ বিদেশি কর্মীর সংখ্যা এবং অবৈধদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু জবাব না পাওয়া আদালতে রিট করেন তারা।