উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ), এটিভি সবাদ
ক্রেতা-দর্শনার্থী আর বৃক্ষ প্রেমীদের পদচারণে মুখর হয়ে উঠেছে উল্লাপাড়ার বৃক্ষমেলা। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে স্টলগুলো সাজানো হয়েছে দেশি-বিদেশি সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফল, ফুল, কাঠ ও ওষুধি গাছের চারা দিয়ে। গত বৃহস্পতিবার (২১/০৯/২০২৩) মেলা উদ্বোধনের পর থেকেই উল্লাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতারা আসছেন বৃক্ষমেলা প্রাঙ্গণে। ঘুরে দেখার পাশাপাশি পছন্দমতো গাছের চারা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন তারা।
উল্লাপাড়া উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ আয়োজনে পাঁচ দিনব্যাপী এ বৃক্ষমেলা চলছে উপজেলা চত্বরে। মেলায় স্টল সাজিয়ে বসেন উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তের নার্সারি মালিকরা। উদ্বোধনের পর থেকেই মেলাকে ঘিরে সেখানে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। জমে ওঠে বেচা-কেনাও। বৃক্ষপ্রেমীদের আগমনে খুশি নার্সারি ও স্টল মালিকরা। তারা জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর মেলায় দর্শনার্থী ও ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে বিক্রিও এবং সেই কারনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরো ৩ দিন বৃক্ষমেলার সময় বাড়ানো হয়েছে।
সবুজ বাঁচলেই তো মানুষ বাঁচবে। নিজেদের প্রয়োজনেই প্রত্যেক নাগরিকের উচিত বেশি করে গাছ লাগানো। মেলায় কতো প্রজাতির গাছ দেখলাম। প্রাণটা ভরে গেল। কয়েকটি চারা কিনেছি, লাগানোর জায়গা থাকলে আরো কিনতাম। এইভাবেই বৃক্ষমেলায় আসা সকল বয়সী নারী পুরুষ তাদেন অনুভুতির কথা জানান।
বৃক্ষমেলায় এসে সাংবাদিক সবুজ বলেন, জীবন ধারনের জন্য গাছের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম এই অর্থেই গাছ কিনলাম জীবন এবং বৃক্ষ ছাড়া ভাবাই যায় না তাই বৃক্ষমেলায় এসে গাছ কিনলাম। এখানে অজুহাতের দরকার নেই, ভাল লাগার প্রয়োজন নেই জীবনের তাগিদেই আমার গাছ কেনা।
বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম বলেন, গাছ আমাদের পরিবেশ সুন্দর রাখে, সবারই উচিত গাছ লাগানো। তাই যেখানে যতটুকু খালি জায়গা রয়েছে সেখানেই কমবেশি গাছ লাগাতে হবে। তাছাড়া ছাদে-বারান্দায় টবেও তো গাছ লাগানো যায়। তাই আমরা সকলে মিলে বিভিন্ন ফল ফুল বনজ ঔষধি গাছ লাগাতে পারি তাহলে আমাদের খাদ্য ও পুষ্টির ঘাটতি পুরন করতে পারবো পাশাপাশি সুন্দর সবুজ বাংলাদেশ গড়তে পারবো এবং গ্রাম বাংলার প্রতিচ্ছবি দেখতে পারবো।